ঐক্যফ্রন্টে পাঁচজনের মনোনয়ন লড়াই

ফাহিম চৌধুরী,হায়দার আলী
ফাহিম চৌধুরী,হায়দার আলী

শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ঐকফ্রন্টের থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা প্রকৌশলী ফাহিম চৌধুরী। এখানে ফাহিম চৌধুরী ছাড়াও আরও চারজন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

শেরপুর-২ আসন নকলা-নালিতাবাড়ী উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। আসনটিতে ভোটার ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৩২ জন। নকলায় ১ লাখ ৫১ হাজার ৫৭৩ জন ও নালিতাবাড়ীতে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৫৯ জন ভোটার।

দলীয় নেতা-কর্মী ও কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ আসনটি আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীর নির্বাচনী আসন হওয়ায় এর গুরুত্ব আলাদা। এ আসন থেকে মতিয়া চৌধুরী ১৯৯১, ৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে সাংসদ নির্বাচিত হন। ২০০১ সালে তিনি বিএনপির প্রার্থী মরহুম জাহেদ আলী চৌধুরী কাছে পরাজিত হন। জাহেদ আলী চৌধুরী জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ছিলেন। ২০১০ সালের ৪ জানুয়ারি জাহেদ আলী চৌধুরী মারা যান। তখন নকলা-নালিতাবাড়ী উপজেলায় বিএনপির নেতৃত্ব আসেন জাহেদ আলী চৌধুরীর ছেলে প্রকৌশলী ফাহিম চৌধুরী। ফাহিম কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি বাবার আসন পুনরুদ্ধার করতে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। এ ছাড়া এ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য অবসরপ্রাপ্ত সচিব হায়দার আলী, নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এ কে এম মুখলেছুর রহমান, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য মাজাহারুল ইসলাম ও বিএনপি নেতা জায়েদুর রশীদ মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।

বিএনপির কয়েকজন নেতা–কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মরহুম জাহেদ আলী চৌধুরীর কারণে ফাহিম চৌধুরী মনোনয়ন দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছেন। তবে হায়দার–সমর্থকেরা মনে করেন, হায়দার আলী উচ্চশিক্ষিত। দীর্ঘদিন তিনি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন। তিনি অভিজ্ঞ এবং দুই উপজেলায় অসংখ্য সভা–সমাবেশ করেছেন। এ ছাড়া তিনি ১০ বছর ধরে খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁরা মনোনয়নের ব্যাপারে হায়দার আলীর বিকল্প কাউকে মনে করছেন না। এই আসনে মূলত মনোনয়ন নিয়ে ফাহিম চৌধুরীর সঙ্গে হায়দার আলীর লড়াই হবে।

নালিতাবাড়ী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. নুরল ইসলাম বলেন, এই আসনে ফাহিম চৌধুরীর কোনো বিকল্প নেই।