জামায়াতের কেন্দ্রীয় ১০ নেতা নির্বাচনে

দলের সেক্রেটারি জেনারেলসহ জামায়াতে ইসলামীর অন্তত ১০ জন কেন্দ্রীয় নেতা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে  অংশ নিতে মাঠে নেমেছেন। এর মধ্যে দলের দুই নায়েবে আমির, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলসহ কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের একাধিক সদস্য রয়েছেন।

দলটির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ইতিমধ্যে ৬১টি আসন থেকে জামায়াতের নেতারা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। দলের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল শফিকুর রহমান রাজধানী ঢাকার-১৫ (মিরপুরের-কাফরুল) আসন থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। এ আসন থেকে তিনি ২০-দলীয় জোটের মনোনয়ন চাইবেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সাংসদ কামাল আহমেদ মজুমদার।

জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে রাজশাহী-১ আসনে জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান, আরেক নায়েবে আমির মিয়া গোলাম পরোয়ার খুলনা-৫ আসন থেকে নির্বাচন করতে চান। তাঁরা দুজনেই সাবেক সাংসদ। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জ-৪, কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি তাসনীম আলম নাটোর-১, নির্বাহী পরিষদের সদস্য সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের কুমিল্লা-১১, ইজ্জত উল্লাহ সাতক্ষীরা-১, হামিদুর রহমান আজাদ কক্সবাজার-২, নুরুল ইসলাম বুলবুল চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ ও শফিকুল ইসলাম মাসুদ দলীয় সিদ্ধান্তে পটুয়াখালী-২ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। এ ছাড়া সাবেক সচিব এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরী কুমিল্লা-৯ আসন থেকে ফরম নিয়েছেন।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই নেতা মতিউর রহমান নিজামী ও দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলেকে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জামায়াত। পাবনা-১ আসনে নিজামীর ছেলে নাজিব মোমেন, পিরোজপুর-১ আসনে শামীম সাঈদী নির্বাচন করবেন।

 শাহজাহান–শামসুল বাদ

এদিকে নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে দলের দুই প্রভাবশালী নেতা শাহজাহান চৌধুরী ও আ ন ম শামসুল ইসলামের বিরোধ মেটাতে পারেনি জামায়াত। দুজনই চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া) আসনের সাবেক সাংসদ। দুজনই এই আসনে প্রার্থিতার ব্যাপারে অনড় অবস্থান নেন। এ নিয়ে অনেকবার বৈঠক করেও দুজনকে নিবৃত্ত করা যায়নি। এ অবস্থায় দুজনকে বাদ দিয়ে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের আমির জাফর সাদককে নতুন করে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে দলের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।