জয়ের পরাজয়

আরিফ খান জয়
আরিফ খান জয়

বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয় মনোনয়ন পাবেন কি না, তা নিয়ে ছিল আলোচনা। যদিও তাঁর বড় ভাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নূর খান মিঠু দাবি করেছিলেন, এলাকার নেতারা তাঁর পেছনে আছেন। তাই জয়ই মনোনয়ন পাবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পাননি তিনি। নেত্রকোনা–২ (সদর ও বারহাট্টা) আসনে এবার নৌকা টিকিটে নির্বাচন করছেন সাবেক সাংসদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী খান।

নেত্রকোনার ৫ আসনের ৩টিতেই এবার পুরোনোরা বাদ পড়েছেন। নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসনে বর্তমান সাংসদ ছবি বিশ্বাসের পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন মানু মজুমদার। তিনি বর্তমান সাংসদের ভগ্নিপতি। মানু মজুমদার জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। তাঁর বাড়ি কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে।

নেত্রকোনা–২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার দৌড়ে ছিলেন উপমন্ত্রী আরিফ খান, সাবেক সাংসদ আশরাফ আলী খান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শামসুর রহমান লিটন। আরিফ খানের অনুসারীরা বলে আসছিলেন ‘সেলিব্রিটি’ হিসেবে তিনি মনোয়ন পাবেন। যদিও এলাকার অনেকেই বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কারণে তাঁর ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়া, না–দেওয়া, সরকারি অফিসের দরপত্র নিয়ন্ত্রণ, দখল ও মারধরের নানা অভিযোগ করে আসছিলেন দলের লোকজনই।

নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনে বর্তমান সাংসদ ইফতিকার উদ্দিন তালুকদার মনোনয়ন পাননি। তাঁর পরিবর্তে মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি–বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল।

নেত্রকোনা–৪ (মদন-মোহনগঞ্জ-খালিয়াজুরি) আসনে সাংসদ রেবেকা মমিন ও নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসন থেকে ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল (বীর প্রতীক) মনোনয়ন পেয়েছেন।