মামলা করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান

ইকবাল মাহমুদ। ফাইল ছবি
ইকবাল মাহমুদ। ফাইল ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তাদের মামলা-মোকদ্দমা করার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেন, মামলার দালিলিক প্রমাণ এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ এমনভাবে উপস্থাপন করতে হবে, যাতে অপরাধীরা বুঝতে পারেন তাঁদের অপরাধ প্রমাণিত। অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী হয়ে কোনো কাজ কমিশন করবে না ।

আজ সোমবার কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে কমিশনের সহকারী পরিচালক থেকে পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের এক ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এতে সংস্থার শতাধিক কর্মকর্তা অংশ নেন।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, কর্মকর্তাদের পেশা, উচ্চশিক্ষাসহ কল্যাণমূলক সব কার্যক্রম বাস্তবায়নে কমিশন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে। তাই কর্মকর্তাদের সততা ও নৈতিকতার মানদণ্ড অনুকরণীয় ও দৃষ্টান্তমূলক হতে হবে। তিনি বলেন, 'আপনারা এমন একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন, যেটি সমাজে সততা ও নিষ্ঠাবোধ সৃষ্টিতে আইনি ম্যান্ডেটপ্রাপ্ত।'

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি কর্মকর্তার আচরণ, জ্ঞান, সক্ষমতা, বিবেচনাবোধ, নৈতিকতা, সমন্বয় সর্বোপরি মানুষের প্রতি অনুভূতি হতে হবে দৃষ্টান্তমূলক। এই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা যখন ভালো কাজ করেন, আমার মনে হয় তখন আমার চেয়ে আর কেউ হয়তো বেশি খুশি হন না, আবার কেউ যখন অনৈতিক কাজ করেন, তখন সবচেয়ে বেশি কষ্ট অনুভব করি আমি।’

ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে সমন্বিত উদ্যোগের কোনো বিকল্প নেই। এই উদ্যোগের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে দুদক। সমাজের প্রতিটি অংশকে এই প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার দায়িত্বও কমিশনের। কমিশন ইতিমধ্যেই দুর্নীতি প্রতিরোধে তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধিসহ নাগরিক সমাজের বিরাট অংশকে সম্পৃক্ত করতে সক্ষম হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধ একটি চলমান প্রক্রিয়া। এর গতি যত ত্বরান্বিত হবে, দুর্নীতি ততই কমে আসবে। এ ক্ষেত্রে জন-আস্থার কোনো বিকল্প নেই। আর জন-আস্থা বাড়াতে দুদক কর্মকর্তাদের কর্মস্পৃহা, দক্ষতা, সততা, নিষ্ঠা ও একাগ্রতা অপরিহার্য।