সীতাকুণ্ডে বিদ্যুৎ-কর্মীর লাশ নিয়ে মিছিল

সীতাকুণ্ডে বিদ্যুৎ–কর্মীর লাশ নিয়ে বিদ্যুৎ কার্যালয় ঘেরাও করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। আজ মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে বাড়বকুণ্ড বাজার এলাকায় লাইনে কাজ করার সময় নাছির উদ্দিন (৫০) নামের এক বিদ্যুৎ–কর্মী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ঘটনার পর লাশ নিয়ে তারা মহাসড়কে মিছিল শুরু করে। এ সময় মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও সীতাকুণ্ড থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। নাছির উদ্দিন বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের রামনগর গ্রামের বাসিন্দা।

হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আজ সকালে বাড়বকুণ্ড বাজার এলাকায় বিদ্যুতের লাইন বন্ধ রেখে খুঁটির ওপরে উঠে কাজ করছিলেন নাছির উদ্দিন। এ সময় হঠাৎ লাইনে বিদ্যুৎ চলে আসে। এরপর বিদ্যুতায়িত হয়ে তিনি মারা যান। লাশ ঝুলে থাকতে দেখে অন্য বিদ্যুৎ–কর্মীরা পালিয়ে যান।

খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে নিহত নাছিরের লাশ খুঁটি থেকে নামিয়ে আনেন। লাশ নিচে আনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা লাশ নিয়ে মহাসড়কে মিছিল করতে করতে বাড়বকুণ্ড বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যালয়ের দিকে যায়। এ সময় মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে তারা বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যালয় ঘেরাও করে রাখে।

খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নেয়। পরে তারা বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যালয়ের দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার স্লোগান দিয়ে কার্যালয় ঘেরাও করে রাখে।

কুমিরা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. আবু আবদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুৎ কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের গাফিলতির কারণে ওই কর্মী নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় লোকজনের দাবি। লাশ নিয়ে মিছিল করার সময় মহাসড়কে যান চলাচল কিছুক্ষণ বন্ধ ছিল। পরে তাদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলওয়ার হোসেন বলেন, লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তদন্ত চলছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাড়বকুণ্ড বিদ্যুৎ বিতরণ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের একজন কর্মী নিহত হয়েছেন। স্থানীয় লোকজন তাঁর লাশ নিয়ে কার্যালয় ঘেরাও করে রেখেছে। কী কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মূল লাইনের সার্কিট ব্রেকার বন্ধ ছিল। ঠিক কী কারণে বিদ্যুৎ গেল ওই লাইনে, তার তদন্ত চলছে।