কামরুলকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে সমর্থকদের বিক্ষোভ। গতকাল  ঢাকা–নবাবগঞ্জ সড়কের কোনাখোলা এলাকায়।  ছবি: প্রথম আলো
কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে সমর্থকদের বিক্ষোভ। গতকাল ঢাকা–নবাবগঞ্জ সড়কের কোনাখোলা এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা-২ আসনে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার ঢাকা-নবাবগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের সমর্থকেরা। তাঁরা শাহীন আহমেদকে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান।

গত রোববার খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে ঢাকা-২ আসনে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। এর প্রতিবাদে গতকাল বেলা ১১টার দিকে শাহীন আহমেদের সমর্থকেরা কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁরা কোনাখোলা এলাকায় ঢাকা-নবাবগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন। শত শত নেতা–কর্মী রাস্তার ওপর শুয়ে–বসে নানা স্লোগান দিতে থাকেন। বিক্ষোভকারীরা ঘণ্টাখানেক সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় ঢাকা-নবাবগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে সাধারণ যাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।

ঢাকা জেলা পরিষদের সদস্য সোহরাব হোসেন বলেন, এই আসনে আওয়ামী লীগের যোগ্য প্রার্থী শাহীন আহমেদ। তিনি তৃণমূলের নেতা–কর্মীদের সুসংগঠিত করে দলকে শক্তিশালী করেছেন। তাই এই আসন থেকে দলের মনোনয়ন পাওয়ার দাবিদার একমাত্র শাহীন আহমেদ। তাঁরা খাদ্যমন্ত্রীর মনোনয়ন মানেন না।

>মনোনয়নবঞ্চিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদের সমর্থকেরা ঢাকা–নবাবগঞ্জ সড়ক অবরোধ করেন।

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার রোহিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল আলী বলেন, ‘আমাদের নেতা শাহীন আহমেদ ২০১৪ সালে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। কিন্তু তখন তাঁকে মনোনয়ন না দিয়ে খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে দেওয়া হয়। এবারও শাহীন আহমেদ মনোনয়নপ্রত্যাশী। কিন্তু তাঁকে না দিয়ে এবারও কামরুল ইসলামকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। অথচ শাহীন আহমেদ কেরানীগঞ্জে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করেছেন। এ জন্য তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া উচিত ছিল।’

শাহীন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এত বছর আওয়ামী লীগের তৃণমূলের নেতা–কর্মী ও সাধারণ মানুষের একটা স্বপ্ন ছিল, আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে। কিন্তু খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলামকে দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেওয়ায় দলের নেতা–কর্মী ও সাধারণ মানুষের স্বপ্ন ভেঙে গেছে। এতে নেতা–কর্মীরা বিক্ষুব্ধ। আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে তাঁরা রাস্তায় নেমেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘অযোগ্য একজনকে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি নেতা–কর্মীরা মানতে পারছেন না। এ জন্য তাঁরা নানা কর্মসূচি পালন করছেন। আশা করব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃণমূলের নেতা-কর্মীর দাবির বিষয়টি বিবেচনা করে ঢাকা-২ আসনের প্রার্থী পরিবর্তন করবেন।’

কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাকের মোহাম্মদ যুবায়ের বলেন, মনোনয়নবঞ্চিত শাহীন আহমেদের সমর্থকেরা সড়ক অবরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। বিষয়টি শাহীন আহমেদকে জানানো হয়। পরে নেতা–কর্মীরা সড়ক থেকে সরে যান। এরপর যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।