মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে মাত্র ২২টি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে আগ্রহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন কাল বুধবার। অথচ গতকাল সোমবার পর্যন্ত ঢাকা নগরের ১৫টি আসনে নির্বাচনে আগ্রহী মাত্র ২২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কেউ নেই।

গতকাল সেগুনবাগিচায় ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে গিয়ে এই তথ্য জানা যায়। ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার ঢাকা নগরের ১৫টি আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন।

সেগুনবাগিচায় রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঢাকা-৪ থেকে ঢাকা-১৮ আসনের জন্য পৃথক ডেস্ক বসানো হয়েছে। গতকাল এসব ডেস্কে এসে সিপিবি, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল, বাংলাদেশ ইসলামি ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের একজন করে ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ ছাড়া গতকাল একজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও মনোনয়নপত্র জমা দেন।

গতকাল ঢাকা-৬ আসনে সিপিবির আবু তাহের, ঢাকা-১৫ আসনে ইসলামী আন্দোলনের মুফতি হেমায়েতুল্লাহ ও ঢাকা-১৬ আসনে একই দলের ছিদ্দিকুর রহমান, ঢাকা-১৭ আসনে প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের আলী হায়দার, ঢাকা-১৮ আসনে বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের এম এ মোমেন, ঢাকা-১৭ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনিসুজ্জামান ও ঢাকা-৯ আসনে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের শফিউল্লাহ চৌধুরী মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসা প্রার্থীদের সঙ্গে লোকজন ছিলেন হাতে গোনা।

দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন এখনো লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারেনি। আমরা দেখছি, নানা জায়গায় দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মহড়া দেওয়া হচ্ছে, যা নিষিদ্ধ। প্রশাসনের কারসাজি হবে না—নির্বাচন কমিশন ও সরকার এ বিষয়ে নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। এ কারণে সন্দেহ দানা বেঁধেছে।’ ইসির প্রতি ‘একচোখা নীতি’ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মেরুদণ্ড শক্ত করে এবং আইনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন তাঁরা।