কুষ্টিয়া-৪ আসনে হইচই

প্রার্থী পরিবর্তন না হলে আসন হারানোর শঙ্কা করছেন কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের বর্তমান সাংসদ আবদুর রউফের কর্মী-সমর্থকেরা। এই আসনে মনোনয়ন পেতে দৌড়ঝাঁপে ছিলেন অন্তত এক ডজন বাঘা নেতা। তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে নবীন ও নতুন মুখ সেলিম আলতাব জর্জ মনোনয়ন পেয়ে অনেকটা চমক সৃষ্টি করেছেন।

দলে সেলিম আলতাবের কোনো পদ নেই। তিনি কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক সাংসদ গোলাম কিবরিয়ার দৌহিত্র। তাঁর চাচা আবুল হোসেন ও চাচি সুলতানা তরুণও সাংসদ ছিলেন। আরেক চাচা সামছুজ্জামান অরুণ কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র।

সেলিম আলতাব দলীয় মনোনয়ন পাওয়ায় দুই উপজেলার মানুষের মুখে মুখে এখন একটাই প্রশ্ন, কে এই নেতা, যিনি বাঘা বাঘা নেতাকে টপকে মনোনয়ন ছিনিয়ে এনেছেন।

গতকাল সোমবার দুই উপজেলায় আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মনোনয়ন দৌড়ে সাবেক ও বর্তমান তিনজন সাংসদ ছিলেন। ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দীন খান, সহসভাপতি জাহিদ হোসেন জাফর। জাহিদ ছয় মাস ধরে দুই উপজেলা চষে বেড়িয়েছেন। কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মান্নান তৃণমূল নেতা-কর্মীদের নিয়ে চলেন। তাঁদের কাউকে না দিয়ে একেবারে নতুন একজনকে মনোনয়ন দেওয়ায় সবাই অবাক।

জানতে চাইলে মনোনয়নবঞ্চিত জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জাহিদ হোসেন জাফর গতকাল সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রথমত, আমার নেত্রী (শেখ হাসিনা) যাঁকে আমি শ্রদ্ধা করি, তিনি কথা ও কাজে মিল রাখেননি। দ্বিতীয়ত, যাঁকে (সেলিম আলতাব) মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তাঁকে কেউই চেনে না। হঠাৎ আগমন তাঁর। তৃতীয়ত, ওই (সেলিম আলতাব) পরিবার আমার আত্মীয়। সেলিমের নামও আমি জানি না। তাঁর দাদা, চাচা ও চাচি সাংসদ ছিলেন। চাচির আমলের কাহিনি সবাই জানে।’

জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক জাহিদ হোসেন বলেন, ‘৫০ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করছি। ১৯৭০ সাল থেকে আমি নির্বাচনের কর্মী। পাঁচটা সংসদ নির্বাচন পরিচালনা করেছি। তাতে মনে হচ্ছে এবার এই আসনটা ধানের শীষের কাছে চলে যাবে। ঠেকানো যাবে না।’