জাতীয় পার্টির বদলে আ.লীগের প্রার্থী

ময়মনসিংহের আসনগুলোতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের প্রথম দিনে তেমন কোনো চমক ছিল না। তবে গতকাল সোমবার ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কে এম খালিদের মনোনয়ন পাওয়ার খবর এলাকায় বেশ চমক সৃষ্টি করে।

এই আসনে বর্তমান সাংসদ জাতীয় পার্টির (জাপা) সালাহউদ্দিন আহমেদ। গত রোববার দিনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের মনোনয়নের চিঠি দেওয়ার সময় মুক্তাগাছা আসনে কোনো প্রার্থীর মনোনয়নের খবর পাওয়া যায়নি। পরে রাতে মুক্তাগাছা আসনের আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ খালিদকে মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়।

কে এম খালিদ গতকাল দুপুরে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘দলের মনোনয়নের চিঠি পাওয়ার পর জেনেছি, এ আসনটি থেকে জাপার প্রার্থীকে এবার মনোনয়ন দেওয়া হবে না। তবে আমি জাপার কারও সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলিনি।’ তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষ চান এবার মুক্তাগাছা আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী। মানুষের সেই চাওয়া পূরণ হয়েছে।’

এ ব্যাপারে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম গতকাল বিকেলে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মুক্তাগাছা আসনের ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে পারব না। পরে জানানো হবে।’

দলীয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে জাপার সঙ্গে আসন ভাগাভাগিতে ময়মনসিংহের ১১টি আসনের মধ্যে ৪টি আসন জাপাকে দেওয়া হয়। ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে রওশন এরশাদ, ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসনে সালাহউদ্দিন আহমেদ, ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে এম এ হান্নান ও ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে ফখরুল ইমাম সাংসদ হন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাপার সঙ্গে আসন বণ্টন চূড়ান্ত না হলেও গত রোববার মুক্তাগাছা, সদর ও ঈশ্বরগঞ্জ আসনের প্রার্থী মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ।

ত্রিশাল আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান রুহুল আমিন মাদানী। তবে গতকাল মুক্তাগাছা আসনে আওয়ামী লীগের খালিদের মনোনয়নের খবরটি ছিল মানুষের মুখে মুখ।