গণসংহতিতে জোনায়েদ সাকিসহ তিন প্রার্থী

জোনায়েদ সাকি, হাসান মারুফ রুমি, জুলহাসনাইন বাবু
জোনায়েদ সাকি, হাসান মারুফ রুমি, জুলহাসনাইন বাবু

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে গণসংহতি আন্দোলন। ঢাকা-১২, চট্টগ্রাম-১০ ও পাবনা-১ আসনে লড়বেন দলটির তিন নেতা। 

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ‘গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়।

গণসংহতির প্রার্থীদের মধ্যে দলটির প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ঢাকা-১২ আসনে স্বতন্ত্র প্রতীকে নির্বাচন করবেন। আর বাম গণতান্ত্রিক জোটের প্রতীক কোদাল নিয়ে দলটির কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য হাসান মারুফ নির্বাচন করবেন চট্টগ্রাম-১০ আসনে। অন্যদিকে সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু লড়বেন পাবনা-১ আসন থেকে।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে জোনায়েদ সাকি বলেন, নির্বাচন কমিশন এখন পর্যন্ত যা যা করেছে তাতে তারা জনগণের ভরসা অর্জন করতে পারেনি। কিন্তু তারপরও আন্দোলনের অংশ হিসেবে এই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে গণসংহতি আন্দোলন।

লিখিত বক্তব্যে দলের ভারপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল বলেন, সব শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন দেয়নি নির্বাচন কমিশন। এই আদেশকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, সে বিষয়ে হাইকোর্টের একটি রুলের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন কোনো সদুত্তর না দেওয়ায় কাল বুধবার একটি শুনানি রয়েছে। এদিন একই সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ারও শেষ দিন। এমন পরিস্থিতিতে দলের প্রার্থীদের স্বতন্ত্র বা জোটভুক্ত অন্য দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে হচ্ছে।

সুষ্ঠু, অবাধ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে এই প্রথম সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনী কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক পরিচয় বেছে বেছে নিয়োগ করা হচ্ছে। মামলা, গুম-খুনের শিকার হচ্ছে বিরোধী দল। জনগণ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে পরিস্থিতি ঘুরে যেতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নিলু, ফিরোজ আহমেদ, তাসলিমা আখতার প্রমুখ।