নির্বাচন প্রতিহত করতেই এই রায়: ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের পথ অনেকটাই আটকে গেছে। আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চের এক আদেশের পর বিষয়টি অনেকটা স্পষ্ট হয়েছে।

এ বিষয়ে আজ মঙ্গলবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, এই রায়ে সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে। আগামী সংসদ নির্বাচনে বিএনপি, ২০ দল ও ঐক্যফ্রন্টকে প্রতিহত করার জন্য সরকারের ইচ্ছায় এ রায় দেওয়া হয়েছে। জনগণ এ রায় মানবে না, জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। ঐক্যফ্রন্ট ও নির্বাচন প্রতিহত করতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে।

গুলশান কার্যালয় সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আমরা আশা করেছিলাম, নির্বাচনের আগেই খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। কিন্তু সরকার আদালতকে ব্যবহার করেছে; নির্বাচন থেকে খালেদা জিয়াকে দূরে রাখতেই এই রায় দেওয়া হয়েছে। এই মুহূর্তে এই রায় জনগণের মধ্যে প্রশ্নের সৃষ্টি করবে।’

আজ হাইকোর্ট বলেছেন, নিম্ন আদালতে দুই বছরের বেশি সাজা হলে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। দুর্নীতির দায়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া দণ্ড ও সাজা ভোগ স্থগিত চেয়ে বিএনপির পাঁচ নেতার করা আবেদন খারিজ করে দেওয়া রায়ে আদালত এ কথা বলেন।

আদালত আদেশে বলছেন, সংবিধানের ৬৬ (২) (ঘ) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী কারও দুই বছরের বেশি সাজা বা দণ্ড হলে সেই দণ্ড বা সাজার বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল বিচারাধীন থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না। অবশ্য যতক্ষণ না আপিল বিভাগ ওই রায় বাতিল বা স্থগিত করে তাঁকে জামিন দেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন দুটি দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করছেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় নিম্ন আদালতের রায় স্থগিত, সাজা ভোগ বাতিল ও জামিন চেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় উচ্চ আদালত সাজা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।