মেয়রের সঙ্গে নৌকার দুই প্রার্থীর সাক্ষাৎ

আ জ ম নাছির উদ্দীন, মইন উদ্দীন খান বাদল ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল
আ জ ম নাছির উদ্দীন, মইন উদ্দীন খান বাদল ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন মহাজোটের দুই প্রার্থী মইন উদ্দীন খান বাদল ও মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তাঁরা যথাক্রমে চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) ও চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) আসন থেকে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করবেন।

আজ মঙ্গলবার বেলা পৌনে তিনটায় চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লায় নগর ভবনে যান দুই প্রার্থী। করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে বসে প্রায় ২০ মিনিট আলোচনা করেন। এ সময় সিটি করপোরেশনের কয়েকজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরীর পিতা সাবেক মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছিরের বিরোধ ছিল। আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীরা এখনো দুটি ধারায় বিভক্ত। তবে সব বিভেদ ও ভেদাভেদ ভুলে নৌকা প্রতীককে জয়ী করতে একসঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দেন মেয়র।

মেয়রের অনুরোধে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতি সম্পর্কে ব্রিফ করেন ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সাবেক সভাপতি দেলোয়ার মজুমদার। চট্টগ্রাম-৯ আসনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট হবে। আগামীকাল বুধবার চট্টগ্রাম নগরের আসনগুলোতে মহাজোটের মনোনীত প্রার্থীরা একসঙ্গে মনোনয়ন ফরম জমা দেবেন বলে জানান মেয়র।

সৌজন্যসাক্ষাৎ শেষে জাসদের নেতা মইন উদ্দীন খান বাদল সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, দুশ্চরিত্ররা ষড়যন্ত্র না করলে আগামী সংসদ নির্বাচনে আবার নৌকা জয়ী হবে। যদি নৌকা জিততে না পারে, তাহলে চলমান উন্নয়নকাজ থমকে যাবে। তাই সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

উন্নয়নের কারণে সাধারণ মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন বলে সাংবাদিকদের জানান মহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, নগরের সেবা সংস্থাগুলো যাতে সমন্বয়ের মাধ্যমে সেবা দিতে পারে, সে জন্য আইনি কাঠামো প্রণয়নের জন্য কাজ করবেন।

এরপর মইন উদ্দীন খান নগর ভবন ত্যাগ করেন। তবে মহিবুল হাসান চৌধুরী নগর ভবনের তৃতীয় তলায় সম্মেলনকক্ষে পূর্ব বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক সভায় যোগ দেন। ওয়ার্ড কমিটির দলীয় কোন্দল নিরসনে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। দুজনই সব ভেদাভেদ ও বিভক্তি ভুলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করতে আহ্বান জানান।

এর আগে আজ সকালে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে আসেন মহিবুল হাসান চৌধুরী। এরপর প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা জহুর আহমেদ চৌধুরী ও পিতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর কবর জিয়ারত করেন। পরে নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।