নড়াইল-১ আসনে কে হবেন নৌকার মাঝি

কবিরুল হক মুক্তি ও শরীফ নূরুল আমবিয়া
কবিরুল হক মুক্তি ও শরীফ নূরুল আমবিয়া

নড়াইল-১ আসনে (কালিয়া-সদরের একাংশ) আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে দুজনকে। তাঁরা হলেন বর্তমান সাংসদ কবিরুল হক মুক্তি ও জাসদ একাংশের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শরীফ নূরুল আমবিয়া। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুজনকে মনোনয়ন দেওয়ায় দলীয় নেতা-কর্মীরা বিভ্রান্তিতে পড়েছেন। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক জল্পনাকল্পনা শুরু হয়েছে।
মনোনয়নপত্র নিয়ে কবিরুল হক সোমবার রাতে এলাকায় পৌঁছালে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কয়েক শ নেতা-কর্মী আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেন। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাসদ সভাপতি শরীফ নূরুল আমবিয়াকে মনোনয়ন দেওয়ায় হতাশ হয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তবে শরীফ নূরুল আমবিয়ার পক্ষে কোনো মিছিল হয়নি। তবে গতকাল দুপুরে কয়েকজন যুবক নড়াগাতি বাজার এলাকায় পটকা ফুটিয়ে আনন্দ করেন।
কবিরুল হকের কয়েকজন সমর্থক বলেন, দেশ স্বাধীনের পর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এমন দৃশ্য দেখা যায়নি। শরীফ নূরুল আমবিয়া এলাকায় থাকেন না। এলাকার সমাজ-সামাজিকতাসহ মানুষের সুখ–দুঃখের সঙ্গী নন। এমন মানুষকে নেত্রী কেন পাঠালেন বোঝা যাচ্ছে না।
শরীফ নূরুল আমবিয়ার সমর্থকেরা অভিযোগ করেন, কবিরুল হক সীমাহীন দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও ত্যাগী নেতা-কর্মীদের কোণঠাসা করে অপরাজনীতির সূচনা করেছেন। স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তরে মনোনয়ন দিয়ে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন। এতে সরকারের উন্নয়নের ধারা ম্লান হয়ে যাচ্ছে। এসব কারণে সাংসদ মনোনয়ন পাবেন না।
সাংসদের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত কালিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. হারুনার রশীদ বলেন, ‘দুজনকে কেন মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে, সেটা আমার জানা নেই। তা ছাড়া তৃণমূল থেকে কোনো মতামত নেওয়া হয়নি।’
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বাবুল সাহা বলেন, দুজনকে মনোনয়ন দিয়েছেন দলীয় সভানেত্রী। নেত্রীই সিদ্ধান্ত নেবেন কাকে রাখবেন। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের কোনো মাথাব্যথা নেই।
ফোন বন্ধ পাওয়ায় শরীফ নূরুল আমবিয়া ও কবিরুল হকের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।