যশোরে চারটি আসনে বিএনপির নতুন মুখ

মফিকুল হাসান তৃপ্তি, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ,অমলেন্দু দাস অপু  ও টিএস আইয়ুব
মফিকুল হাসান তৃপ্তি, অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ,অমলেন্দু দাস অপু ও টিএস আইয়ুব

যশোরের ছয়টি আসনের মধ্যে চারটিতে বিএনপির নতুন মুখ মনোনয়ন পেয়েছেন। আর দুটিতে শরিক দলের পুরোনো মুখ ‘ধানের শীষ’ প্রতীক পেয়েছেন।
যশোর-২ (ঝিকরগাছা-চৌগাছা) আসনটি জামায়াতে ইসলামীকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ আসনে ‘ধানের শীষ’ প্রতীক নিয়ে লড়বেন জামায়াতে ইসলামীর জেলা নায়েব-এ-আমির আবু সাঈদ মুহম্মদ শাহাদাৎ হুসাইন। আর যশোর-৫ (মনিরামপুর) আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ঐক্যফ্রন্টের আরেক শরিক জমিয়তে ওলামা ইসলামের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মুফতি মো. ওয়াক্কাসকে।
এ ছাড়া বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন যশোর-১ (শার্শা) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক মফিকুল হাসান তৃপ্তি ও আবুল হাসান জহির, যশোর-৩ আসনে খুলনা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সদ্য প্রয়াত তরিকুল ইসলামের ছেলে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত ও জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাবেরুল হক, যশোর-৪ (বাঘারপাড়া, অভয়নগর ও সদরের বসুন্দিয়া ইউনিয়ন) আসনে বাঘারপাড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি টি এস আইয়ুব ও অভয়নগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফারাজি মতিয়ার রহমান, যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সহসম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবুল কালাম আজাদ ও কেশবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুস সামাদ বিশ্বাস।
শরিক দলের প্রার্থী মুফতি মোহম্মদ ওয়াক্কাস ও আবু সাঈদ মু. শাহাদাৎ হুসাইন ২০০১ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংসদ নির্বাচিত হন। অন্য চারটি আসনে বিএনপির প্রার্থীদের কেউ আগে সাংসদ ছিলেন না। অবশ্য ১৯৯৬ সালে তিন মাস মেয়াদি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মফিকুল হাসান তৃপ্তি সাংসদ ছিলেন।
এবার বিএনপির নতুন মুখের প্রার্থীদের আওয়ামী লীগের পুরোনো মুখের সঙ্গে লড়তে হবে। যশোর-১ আসনে বিএনপির মফিকুল হাসানের প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ শেখ আফিল উদ্দীন, যশোর-৩ আসনে অনিন্দ্য ইসলামের প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সাংসদ কাজী নাবিল আহমেদ, যশোর-৪ আসনে টি এস আইয়ুবের প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান সাংসদ রণজিত কুমার রায় ও যশোর-৬ আসনে অমলেন্দু দাসকে লড়তে হবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেকের সঙ্গে। এ ছাড়া যশোর-২ আসনে জামায়াতের সাবেক সাংসদ আবু সাঈদ মু. শাহাদাত হুসাইন লড়বেন আওয়ামী লীগের নতুন মুখ অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা নাসির উদ্দীনের সঙ্গে এবং যশোর-৫ আসনে জমিয়তে ওলামা ইসলামের মুফতি ওয়াক্কাসকে বর্তমান সাংসদ স্বপন ভট্টাচার্যের সঙ্গে লড়তে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোর-৬ আসনের বিএনপির নতুন প্রার্থী অমলেন্দু দাস বলেন, ‘আমি এবার প্রথমবারের মতো সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নামছি। নতুন প্রার্থী হিসেবে ভোটে জয়ী হওয়ার জন্য প্রচার ও জনসংযোগে নতুন কৌশল থাকবে। মনোনয়নপত্র জমা দিয়ে নির্বাচনী সংযোগ শুরু করব।’
যশোর-১ আসনের প্রার্থী মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন, ‘এলাকার মানুষের সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। বিএনপির লোকজন মুখিয়ে আছে ভোট দেওয়ার জন্য। এখন দেখা যাক কী হয়। আচরণবিধি মেনেই নির্বাচনী প্রচার শুরু করব।’
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুল মান্নানকে পরাজিত করে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন তৃপ্তি। এ জন্য তিনি নিজেকে একেবারে নতুন মুখ বলতে চান না। ওই সংসদ তিন মাস কার্যকর ছিল।
যশোর-৪ আসনে ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন প্রকৌশলী টি এস আইয়ুব। এবারের সংসদ নির্বাচনে টি এস আইয়ুবকে লড়তে হবে বর্তমান সাংসদ রণজিত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী ১৪–দলীয় জোটের নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। এই দুই প্রার্থী ২০০৮ সালের নির্বাচনেও মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেবার জিতেছিলেন রণজিত রায়।