মনোনয়ন ঠেকাতে গণপদত্যাগের হুমকি

গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি ও সাংসদ আবদুর রশিদ সরকারকে বিএনপি থেকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। অথচ তাঁকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে গণপদত্যাগের হুমকি দিয়েছিলেন জেলা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীরা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গাইবান্ধা শহরের সার্কুলার সড়কে জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নেতা-কর্মীরা এই হুমকি দেন। পরে তাঁরা জাপা নেতা আবদুর রশিদকে মনোনয়ন না দেওয়ার দাবিতে দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
সংবাদ সম্মেলন ও সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মকছুদার রহমান চৌধুরী, শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল হক চৌধুরী, শহর কৃষক দলের বর্তমান সভাপতি লোটাস খান, সদর থানা কৃষক দলের সভাপতি ছামছুল আলম বকসী, জেলা যুবদলের সভাপতি রাগীব হাসান চৌধুরী, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি খন্দকার জাকারিয়া প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, এ আসনে হঠাৎ করে সাবেক সাংসদ আবদুর রশিদ সরকার বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেতে তদবির শুরু করেছেন। তিনি জাতীয় পার্টির দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিএনপি থেকে সংসদ নির্বাচন করতে চান। কিন্তু সদর আসনে পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে বহিরাগত অন্য কাউকে প্রার্থী করলে বিএনপি থেকে স্থানীয় নেতা–কর্মীরা গণপদত্যাগ করবেন। বিএনপি নেতারা তাঁকে কঠোরভাবে প্রতিহত করবেন।
সংবাদ সম্মেলন শেষে বিএনপির নেতা–কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় বসে অবস্থান কর্মসূচিও পালন করেন। এ আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপির গ্রাম সরকারবিষয়ক সম্পাদক আনিসুজ্জামান খান এবং জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি খন্দকার আহাদ আহমেদ দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। কিন্তু কৌশলগত কারণে খন্দকার আহাদ আহমেদ ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী টিটুলকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।।
এ বিষয়ে আবদুর রশিদ সরকার বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় পার্টির হাল ধরে আছি। পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ গাইবান্ধার একাধিক জনসভায় একাদশ সংসদ নির্বাচনে আমাকে দলীয় এবং মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন। সেই আশায় প্রচারণা চালিয়ে আসছি। অথচ আমাকে দলীয় মনোনয়ন থেকে অন্যায়ভাবে বঞ্চিত করা হয়। তাই জাপা থেকে পদত্যাগ করে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন নিয়েছি।’