সংখ্যালঘু কল্যাণ মন্ত্রণালয় গঠনের দাবি

জাতীয় প্রেসক্লাবে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: মোশতাক আহমেদ
জাতীয় প্রেসক্লাবে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সংবাদ সম্মেলন। ছবি: মোশতাক আহমেদ

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী ইশতেহারে কখনো সাম্প্রদায়িক রাজনীতি ও সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় না দেওয়া, ক্ষমতায় গেলে মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস কঠোরভাবে দমন করাসহ ১২ দফা দাবি অন্তর্ভুক্তির জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ও বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সংগঠন দুটির পক্ষ থেকে এসব দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এসব দাবি তুলে ধরেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত।
তাঁদের অন্যান্য দাবির মধ্যে রয়েছে—‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন, ‘সংখ্যালঘু কল্যাণ মন্ত্রণালয়’ ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধ করা, পার্বত্য শান্তি চুক্তি ও অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন দ্রুত বাস্তবায়ন করা ইত্যাদি।
সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য অন্ততপক্ষে ১৫ শতাংশ এবং অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ কোটা রাখার দাবি জানিয়েছে সংগঠন দুটি।
রানা দাশগুপ্ত বলেন, ‘আমরা আশা করব মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ গড়ার রূপরেখা সব জোট ও দলের নির্বাচনী ইশতেহারে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, সব দল যেন সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থাকে। তিনি নির্বাচনের সময় ধর্মীয় স্থানগুলো যেন নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহার করা না হয়, সে বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তৃতা করেন সম্মিলিত ইসলামি জোটের নেতা জিয়াউল হাসান, মহানগর পূজার পুরোহিত রঞ্জিত চক্রবর্তী, দলিত হরিজন সম্প্রদায়ের নেত্রী সুচিত্রা রানী ভক্ত প্রমুখ।