জাফর উল্যাহর সামনে আবার মজিবুর রহমান

কাজী জাফর উল্যাহ ও মজিবুর রহমান চৌধুরী
কাজী জাফর উল্যাহ ও মজিবুর রহমান চৌধুরী

ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ গতকাল বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাংসদ মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন। ২০১৪ সালে তিনি এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন।

সকাল ১০টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী মুকতাদিরুল আহমেদের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন কাজী জাফর উল্যাহ। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ নীলুফার জাফর উল্যাহ, ভাঙ্গা পৌরসভার মেয়র আবু ফয়েজ মো. রেজা, ভাঙ্গা বাজার বণিক সমিতির সভাপতি শহীদুল হক মুনশি প্রমুখ।

এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ফরিদপুরে জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালনকারী উম্মে সালমা তানজিয়ার কাছে মনোনয়নপত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন সাংসদ মজিবুর রহমান চৌধুরী। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন, চরভদ্রাসন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজুল হক, যুগ্ম সম্পাদক সানোয়ার মোল্লা, সদরপুরের উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. হারেজুর রহমান প্রমুখ।

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মজিবুর রহমানের কাছে হেরে যান আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহ।

কাজী জাফর উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৪ সালে ‘বঙ্গবন্ধুর আত্মীয়’, ‘বঙ্গবন্ধুর রক্ত’, ‘নৌকার মাঝি পাল্টাবে’ প্রভৃতি কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করেছিলেন মজিবুর রহমান। কিন্তু তিনি (স্বতন্ত্র সাংসদ) তো তার কিছুই করতে পারেননি। এবার আমার অবস্থা ভালো। জনগণ সঠিক পথে থাকবে। তিনি (স্বতন্ত্র সাংসদ) কোনো উন্নয়ন করতে পারেননি। উন্নয়ন যা হয়েছে জেলা পরিষদ, এলজিউিডিসহ বিভিন্ন দপ্তরের রুটিন কাজ হিসেবেই হয়েছে। এতে তাঁর কোনো ভূমিকা নেই।’

এ সম্পর্কে সাংসদ মজিবুর রহমান বলেন, ‘কাজী জাফর উল্যাহ আমার প্রতিদ্বন্দ্বী। তিনি আমার সম্পর্কে নানা কথা বলতেই পারেন। কিন্তু বিগত পাঁচ বছরের কাজের মূল্যায়ন করবে এই এলাকার জনগণ। তাঁদের প্রতি আমার আস্থা আছে।’