চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের দুই বিদ্রোহী

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে চট্টগ্রামের দুটি আসনে আওয়ামী লীগের দুই ‘বিদ্রোহী’ নেতা গতকাল বুধবার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁরা হলেন চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া।

চট্টগ্রাম-২ আসনে তরীকত ফেডারেশনের প্রধান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী নৌকা প্রতীক পেয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন পেয়ারুল ইসলাম। বিষয়টি দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি চ্যালেঞ্জ হলেও স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশ মাইজভান্ডারীকে মেনে নিতে পারছে না। তিনি ২০১৪ সালের নির্বাচনে ১৪-দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন।

পেয়ারুল ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর কাছে হেরে যান। গতকাল প্রথম আলোকে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মানব। তবে ফটিকছড়ির মানুষ ও আওয়ামী লীগের মতামতও উপেক্ষা করতে পারি না। ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে।’

এদিকে সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া গতকাল ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

চট্টগ্রাম জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সাহাবউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বাকের ভূঁইয়া সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্য জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে জড়িত। বিশেষ করে তাঁর এক ছোট ভাই ইউনিয়ন জামায়াতের নেতা এবং ইউপি চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। বাকের ভূঁইয়া যদি সংসদ সদস্য পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন, তাহলে এই পরিবার নিয়ে সন্দেহটা আরও বাড়বে।

বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বাকের ভূঁইয়া কোনো মন্তব্য করেননি।

চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মনজুর আলম চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-হালিশহর-খুলশি) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পাওয়ায় গতকাল মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। তাঁর ভাতিজা বর্তমান সাংসদ দিদারুল আলম চট্টগ্রাম-৪ আসনে এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী। তিনি ভাতিজার পক্ষে কাজ করবেন বলে জানান।