এক পরিবারের পাঁচজনের মনোনয়নপত্র জমা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইলের তিনটি আসনে গতকাল বুধবার এক পরিবারের পাঁচজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

ওই মনোনয়নপত্র জমাকারীরা হলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য ও মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, তাঁর ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আবদুল কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম, মুরাদ সিদ্দিকী ও করটিয়ার সরকারি সা’দত কলেজ ছাত্রসংসদের সাবেক সহসভাপতি (ভিপি) আজাদ সিদ্দিকী এবং কাদের সিদ্দিকীর মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী।

তাঁদের মধ্যে লতিফ সিদ্দিকী ও মুরাদ সিদ্দিকী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আর কাদের সিদ্দিকী, তাঁর মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী ও আজাদ সিদ্দিকী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

কাদের সিদ্দিকী ও তাঁর মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাদের সিদ্দিকী এ আসন থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি এ আসন থেকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হবেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। আইনগত কোনো জটিলতায় কাদের সিদ্দিকীর মনোনয়ন যদি বাতিল হয়, সে ক্ষেত্রে তাঁর মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী এ আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসন থেকে লতিফ সিদ্দিকী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি এ আসন থেকে ১৯৭০, ১৯৭৩, ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে সাংসদ নির্বাচিত হন। তাঁর স্ত্রী ১৯৮৬ সালের সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সাংসদ নির্বাচিত হন। তা ছাড়া এ আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে কাদের সিদ্দিকী ও আজাদ সিদ্দিকী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে মুরাদ সিদ্দিকী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। মুরাদ সিদ্দিকীর পক্ষে তাঁদের ভাই যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বেলাল সিদ্দিকী গতকাল টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে এ মনোনয়নপত্র জমা দেন। মুরাদ সিদ্দিকী এ আসন থেকে ২০০১ ও ২০০৮ সালের নির্বাচনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন।