কৌশল, নাকি সান্ত্বনা

ইকবাল হোসেন ও  দেলোয়ার হোসেন
ইকবাল হোসেন ও দেলোয়ার হোসেন

ময়মনসিংহের ১১টি আসনে বিএনপির মোট ২৬ জন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এমনভাবে মনোনয়ন দেওয়াকে বিএনপির কোনো কোনো নেতা বলছেন, এটি রাজনৈতিক কৌশল। তবে অনেক নেতা-কর্মী বলছেন, নেতাদের সান্ত্বনা দিতেই এমনভাবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

গত মঙ্গলবার ১১টি আসনে মোট ২২ প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। পরে মঙ্গলবার রাতে আলোচিত আরও কয়েকজন প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়।

গত মঙ্গলবার রাতে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থীরা হলেন ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে দেলোয়ার হোসেন খান দুলু, ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে প্রকৌশলী এম ইকবাল হোসেন। ঢালাওভাবে মনোনয়ন দিলেও এই দুই প্রার্থী গত মঙ্গলবার দিনের শুরুতে দলের মনোনয়ন–চিঠি না পাওয়ায় নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক আলোচনা হয়। পরে রাতে তাঁদের এই মনোনয়ন দেওয়া হয়।

তবে দলের একটি সূত্র জানিয়েছে, ইকবাল হোসেনের মনোনয়নের চিঠি সকাল থেকেই প্রস্তুত ছিল। তিনি কোনো কারণে দেরিতে কার্যালয়ে পৌঁছানোয় চিঠির খবরটি রাতে প্রকাশিত হয়।

বিএনপির ঢালাওভাবে এমন মনোনয়ন দেওয়াকে দলীয় অনেক নেতা-কর্মীরা এটিকে নির্বাচনী কৌশল হিসেবে দেখছেন। তাঁরা মনে করছেন, এতে একক প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ার পর মনোনয়নবঞ্চিতরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন না। আবার দলীয় কোনো কোনো নেতা–কর্মী মনে করছেন, মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের সান্ত্বনা দিতে মূলত এমন মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

ময়মনসিংহ জেলা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এগুলো (মনোনয়ন) কি কৌশল, নাকি সান্ত্বনা, নাকি বিভ্রান্তি। দলীয় সাধারণ কর্মীরা খুবই হযবরল অবস্থায় রয়েছে।’

দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে বিএনপির মনোনয়ন–চিঠি পান ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনে ইকবাল ও ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনে সাবেক সাংসদ দেলোয়ার। এর আগে গত মঙ্গলবার সকালেই গৌরীপুর আসনে আহম্মেদ তায়েবুর রহমান বিএপির মনোনয়ন পেয়েছেন বলে খবর জানা যায়। সদর আসনে আবু ওয়াহাব আকন্দ মনোনয়নের চিঠি পান। গত মঙ্গলবার রাতে আবু ওয়াহাব ময়মনসিংহে ফেরার পর দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁকে নিয়ে শহরে আনন্দ মিছিল করেন। পরে রাত আনুমানিক ১০টায় দেলোয়ারের মনোনয়ন পাওয়ার খবর পান দলীয় নেতা-কর্মীরা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন তালুকদার বলেন, কৌশল হিসেবে একটি আসনে একাধিক প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তবে ঢালাও মনোনয়ন দিতে গিয়ে জনবিচ্ছিন্ন নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এমনকি খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয় নিয়ে কোনো কথা না বলা ব্যক্তিকেও মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।