মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আ.লীগের মজিদ

আবদুল মজিদ
আবদুল মজিদ

কুমিল্লা-২ (হোমনা ও তিতাস) আসনে দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আবদুল মজিদ। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে তিনটায় হোমনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আজগর আলীর কাছে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ সময় উপজেলা কমপ্লেক্স মাঠে ও পাশের দলীয় কার্যালয়ে বিপুলসংখ্যক দলীয় নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি সেলিমা আহমাদ মেরী। দলে নবাগত এই প্রার্থীকে হোমনা উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না।

এ পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল সকাল থেকেই হাজারো নেতা-কর্মী ও নারী-পুরুষ আবদুল মজিদ প্রতিষ্ঠিত হোমনা রেহানা মজিদ মহিলা কলেজ মাঠে জড়ো হন। এরপর তাঁরা মিছিল নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে যান। সেখানে দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আবদুল মজিদ বক্তব্য দেন।

এ সময় আবদুল মজিদ বলেন, ‘আমি কাউকে ডাকিনি। মানুষ আমাকে ভালোবেসে এখানে এসেছেন। মানুষের ভালোবাসা নিয়ে, মানুষের অনুরোধে আমাকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করতে হচ্ছে।

গত ২০ বছরে হোমনা উপজেলার প্রতিটি গ্রামে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করেছি। তিতাসেও কাজ করেছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, দলের সভাপতি শেখ হাসিনা হোমনার মানুষের কান্না শুনতে পাবেন। তিনি আমাকেই নৌকা প্রতীক দেবেন। আমার সঙ্গে দলের সব নেতা-কর্মীরা আছেন।’

বক্তৃতার পর আবদুল মজিদ দলীয় নেতা-কর্মীদের মাঠে অবস্থান করার কথা বলেন। এরপর মনোনয়নপত্র জমা দেন।

২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর আবদুল মজিদ এই আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জাতীয় নির্বাচন করেন। তখন বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য এম কে আনোয়ারের কাছে ১৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর সেটি মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির আমির হোসেনকে দেওয়া হয়।

আমির হোসেন তখন বিনা ভোটে নির্বাচিত হন। এবার আবদুল মজিদ আর দলীয় মনোনয়ন পাননি।