উৎসবমুখর পরিবেশে মনোনয়নপত্র দাখিল

প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল পার্বতীপুরের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে  মনোনয়নপত্র জমা দেন।  প্রথম আলো
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান গতকাল পার্বতীপুরের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। প্রথম আলো

একাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনে অংশ নেওয়ার জন্য প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ছিল গতকাল বুধবার। দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো রংপুরের বিভিন্ন সংসদীয় আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও জামায়াতের প্রার্থীরা গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। নেতারা কর্মী–সমর্থকদের নিয়ে বিপুল উৎসাহ–উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এতে সহকারী রিটার্নিং ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

গতকাল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন প্রমুখ মনোনয়নপত্র জমা দেন।

বেলা সোয়া তিনটার দিকে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আসেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক কে এম কামরুজ্জামান সেলিমের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ সময় জেলা বিএনপির সভাপতি মো.তৈমুর রহমান, সহসভাপতি নূর করিম, সহসভাপতি নূর ই শাহদাৎ,পৌর বিএনপির সভাপতি আবদুল হালিম, সাধারণ সম্পাদক তারিক আদনানসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং দেশে একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু করতে আমরা এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি।’ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যান রমেশ চন্দ্র সেন। সেখানে কিছু সময় অবস্থান করে রিটার্নিং কর্মকর্তার হাতে মনোনয়নপত্র তুলে দেন।

সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন গতকাল নীলফামারী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।  ছবি: প্রথম আলো
সংগীতশিল্পী বেবী নাজনীন গতকাল নীলফামারী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। ছবি: প্রথম আলো

মির্জা ফখরুল ও রমেশ চন্দ্র সেন ছাড়াও ঠাকুরগাঁও-১ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সদস্য ইমরান হোসেন চৌধুরী, ন্যাপের বলরাম গুহ ঠাকুরতা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আবদুল জব্বার, ইসলামী ঐক্যজোটের মো. রফিকুল ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ঠাকুরগাঁও-২ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাংসদ দবিরুল ইসলাম, জেলা জামায়াতের আমির মো. আবদুল হাকিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. রেজাউল করিম প্রমুখ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি ও সাংসদ ইয়াসিন আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সাবেক সাংসদ ইমদাদুল হক, জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, পীরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জাহিদুর রহমানসহ ১২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

নীলফামারী-২ (জেলা সদর) আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের একক প্রার্থী হিসেবে দুপুরে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বেলা দেড়টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক নাজিয়া শিরিনের কাছে তিনি তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেন। পরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগেও বলেছি, প্রধানমন্ত্রী আমাদের যা দিয়েছেন, এখন চাইবার মতো আর কিছু নেই। তবে আমরা আগামীতে সরকার গঠন করতে পারলে সাধারণ মানুষের জীবন মান উন্নয়নে কাজ করব।’

বেলা সাড়ে তিনটার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনে ২০–দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন। এ সময় তাঁর অনুভূতি জানাতে গিয়ে বেবী নাজনীন জানান, তিনি নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। সংগীত একটা বড় সংস্কৃতি, তেমনি রাজনীতিও বড় সংস্কৃতি। ওই আসনে একই দলের প্রার্থী হিসেবে সৈয়দপুর পৌর মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ বিষয়ে বেবী নাজনীন বলেন, ‘দলের একাধিক প্রার্থী হতেই পারে, কারণ বিএনপি একটি বড় দল। তবে আমিই মনোনয়ন পাব বলে আশা করছি।’

এর আগে বেলা ১১টার দিকে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে নীলফামারী–১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি সাবেক সাংসদ জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০–দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে নীলফামারী-২ সদর আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. সামসুজ্জামান। নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে বর্তমান সাংসদ অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা (আওয়ামী লীগ–স্বতন্ত্র), আনসার আলী মিন্টু (স্বতন্ত্র), আবদুল ওয়াহেদ বাহাদুর (স্বতন্ত্র), সাবেক সাংসদ কাজী ফারুক কাদের (জাপা), মেজর (অব.) রানা মোহাম্মদ সোহেলসহ (জাপা) ১১ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার দিনাজপুর-৫ আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য গতকাল বেলা একটায় পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রেহানুল হকের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। দিনাজপুর-৬ আসন থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ আজিজুল হক চৌধুরী, নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, ন্যাপের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী লুৎফর রহমান চৌধুরী এবং ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য রবীন্দ্রনাথ সরেন।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুরের ছয়টি আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ৫৩ জন। এর মধ্যে রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসন থেকে মসিউর রহমান রাঙ্গা (জাতীয় পার্টি), মোকাররম হোসেন (বিএনপি), রইচ আহমেদসহ (বিএনপি) ১০ জন; রংপুর-২ (তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ) আসনে আহসানুল হক চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), আসাদুজ্জামান সাবলু চৌধুরী (জাতীয় পার্টি), জিয়াউদ্দিন বাবলুসহ (জাতীয় পার্টি) ১৩ জন; রংপুর-৩ (সদর) আসনে এইচ এম এরশাদ (জাতীয় পার্টি), মমতাজ উদ্দিন আহমেদ (আওয়ামী লীগ), মোজাফফর হোসেন (বিএনপি), রিটা রহমানসহ (বিএনপি) ৭ জন; রংপুর-৪ (পীরগাছা-কাউনিয়া) আসনে টিপু মুনশি (আওয়ামী লীগ), এমদাদুল হক ভরসা (বিএনপি), সেলিম বেঙ্গলসহ (জাতীয় পার্টি) ৫ জন; রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনে এইচ এন আশিকুর রহমান (আওয়ামী লীগ), এস এম ফখর উজ জামান জাহাঙ্গীরসহ (জাতীয় পার্টি) ১০ জন; রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (আওয়ামী লীগ), জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), সাইফুল ইসলামসহ (বিএনপি) আটজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

কুড়িগ্রাম–৪ আসনে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।  ছবি: প্রথম আলো
কুড়িগ্রাম–৪ আসনে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। ছবি: প্রথম আলো

গাইবান্ধা জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধার মোট পাঁচটি সংসদীয় আসনে ৬৭ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে গতকাল রাত ৯টা পর্যন্ত ৬২ জনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে জাতীয় পার্টির শামীম হায়দার পাটোয়ারী, গণ–ঐক্যের গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ; গাইবান্ধা-২ (সদর) আসনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে বর্তমান জাতীয় সংসদের হুইপ মাহাবুব আরা বেগম, বিএনপির প্রার্থী হিসেবে জেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি খন্দকার আহাদ আহমেদ, সদ্য বিএনপিতে যোগ দেওয়া জাপার সাবেক সাংসদ আবদুর রশিদ, সিপিবির মিহির ঘোষ; গাইবান্ধা-৩ (সাদুল্যাপুর-পলাশবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ ইউনুছ আলী সরকার, জাসদের এস এম খাদেমুল ইসলাম, গাইবান্ধা-৪ (গোবিন্দগঞ্জ) আসনে লীগের মনোনয়ার হোসেন চৌধুরী, বিএনপির শামীম কায়ছার, ওবায়দুল হক, আমিনুল ইসলাম, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক কবির আহম্মেদ এবং গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে আওয়ামী লীগের ফজলে রাব্বী মিয়া, জাতীয় পার্টির সাঘাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ এইচ এম গোলাম শহীদ, বিএনপির ফারুক আলম সরকার প্রমুখ।

পঞ্চগড়-১ আসনের বর্তমান সাংসদ ও বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এই আসনে নাজমুল হকসহ বিভিন্ন দলের ৯ জন প্রার্থী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সাবনিা ইয়াসমিনের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। পঞ্চগড়-২ আসনে মোট ৮ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রার্থীরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পঞ্চগড়-২ আসনের সাংসদ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নূরুল ইসলাম, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরহাদ হোসেন এবং জাতীয় পার্টির লুৎফর রহমান।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুড়িগ্রামের ৪টি আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ৫৭ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এর মধ্যে কুড়িগ্রাম-১ আসনে ১১ জন, কুড়িগ্রাম-২ আসনে ১৫ জন, কুড়িগ্রাম-৩ আসনে ৯ জন এবং কুড়িগ্রাম-৪ আসনে ২৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন কুড়িগ্রাম-১ আসনে মোস্তাফিজুর রহমান (জাপা), আছলাম হোসেন সওদাগর (আওয়ামী লীগ), সাইফুর রহমান রানা (বিএনপি), শামীমা রহমান (বিএনপি), আবদুর রহমান (ইসলামী আন্দোলন); কুড়িগ্রাম-২ আসনে সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ (বিএনপি), আবু বকর সিদ্দিক (বিএনপি); পনির উদ্দিন আহমেদ (জাপা), মেজর (অব.) মুহাম্মদ আবদুস সালাম (গণফোরাম); কুড়িগ্রাম-৩ আসনে তাসভিরুল ইসলাম (বিএনপি), আবদুল খালেক (বিএনপি), এম এ মতিন (আওয়ামী লীগ), ডা. আক্কাছ আলী সরকার (জাপা), হাবিবুর রহমান (কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ), গোলাম মোস্তফা (ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন); কুড়িগ্রাম-৪ আসনে জাকির হোসেন (আওয়ামী লীগ), মোহাম্মদ আসাফুদৌল্লা (জাপা), ইমরান এইচ সরকার (স্বতন্ত্র) প্রমুখ।

লালমনিরহাট-১ (পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা) আসন থেকে নির্বাচন করার জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ মোতাহার হোসেন, বিএনপির দলীয় প্রার্থী হিসেবে হাসান রাজীব প্রধান, বিএনপি মনোনীত অপর প্রার্থী মোশারফ হোসেন, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) দলীয় প্রার্থী হিসেবে আবদুস ছাত্তার ও জাসদ (ইনু) সাদেকুল ইসলাম, জাপার দলীয় প্রার্থী হিসেবে জাপার সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কোষাধ্যক্ষ মেজর (অব.) খালেদ আখতার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের দলীয় প্রার্থী হিসেবে হাবিবুর রহমান ও স্বতন্ত্র হিসেবে হাবিব মো. ফারুক, পাটগ্রাম উপজেলা জামায়াতের নেতা আবু হেনা মোহাম্মদ এরশাদ হোসেনের পক্ষে তাঁর ছোট ভাই গোলাম রব্বানী মনোনয়নপত্র জমা দেন।