যুবক হত্যায় একই পরিবারের তিনজনের যাবজ্জীবন

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় খাইরুল নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় একই পরিবারের তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অরূপ কুমার গোস্বামী এ রায় দেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সাতবাড়িয়া হিসনাপাড়া গ্রামের আবদুল মান্নান, মান্নানের স্ত্রী মেরিনা খাতুন ও মান্নানের মা মর্জিনা খাতুন। একই সঙ্গে আরেক আসামি একই গ্রামের হযরত আলীকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৪ আগস্ট দক্ষিণভবানীপুর গ্রামের শাহিন ট্রলি নিয়ে সাতবাড়িয়া হিসনাপাড়ায় যাচ্ছিল। এ সময় ট্রলির পেছনে ঝুলতে গিয়ে মাশরাফি নামে এক শিশু পড়ে যায়। এ নিয়ে মাশরাফির বাবা আবদুল মান্নানসহ তাঁর পরিবারের লোকজন শাহিনকে তাদের বাড়িতে আটকে রাখে। এ খবর জানতে পেরে শাহিনের ভাই খাইরুলসহ আরও কয়েকজন মিলে শাহিনকে ছাড়াতে যায়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে মান্নানের পরিবারের সদস্যরা খাইরুলসহ আরও কয়েকজনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। হাসপাতালে নেওয়ার পথে খাইরুল মারা যায়।

এ ঘটনায় খাইরুলের ভাই আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে একই দিন রাতে ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় আবদুল মান্নানসহ চারজনকে আসামি করা হয়। পরে মামলাটি কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী প্রথম আলোকে বলেন, ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে আদালত তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে। পরে সাজাপ্রাপ্তদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়