চুয়াডাঙ্গায় ১৮টি মনোনয়ন জমা

চুয়াডাঙ্গা-১ ও ২ আসনে মহাজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে প্রার্থীজট দেখা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মনোনীতদের পাশাপাশি জাতীয় পার্টি, জাসদ (ইনু), জেএসডি, জামায়াতের মনোনীতরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সব মিলিয়ে দুটি আসনে মোট ১৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

চুয়াডাঙ্গা-১ (আলমডাঙ্গা ও সদরের একাংশ) আসনে ১১ জন গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কর্নেল (অব.) সৈয়দ কামরুজ্জামান ও শরীফুজ্জামান শরীফ। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি শামসুজ্জামান দুদুর পক্ষে তাঁর ভাই জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান বুলা মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ ছাড়া ঐক্যফ্রন্টের শরিক জেএসডির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি তৌহিদ হোসেন ও মহাজোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি সোহরাব হোসেন, বাংলাদেশ জাকের পার্টির সহযোগী সংগঠন যুব স্বেচ্ছাসেবক ফ্রন্টের জেলা সভাপতি আলমাছ আলী ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের সদস্য মেরিনা আক্তার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা-২ (দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলা, সদরের একাংশ) আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাংসদ আলী আজগার টগর, জেলা বিএনপির ১ নম্বর যুগ্ম আহ্বায়ক বিজিএমইএর সহসভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু ও জামায়াতের জেলা সেক্রেটারি রুহুল আমীন (স্বতন্ত্র), নূর হাকিম (স্বতন্ত্র) গতকাল মনোনয়নপত্র জমা দেন। এ ছাড়া জেলা জাকের পার্টির সভাপতি আবদুল লতিফ খান ও গণফ্রন্টের নেতা লালন আহমেদ মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

এর আগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জেলা সভাপতি হাসানুজ্জামান মনোনয়নপত্র জমা দেন। সব মিলিয়ে এই আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৭ জন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রুহুল আমীন বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা-২ আসন বাদ দিয়ে কোনো সমঝোতা হতে পারে না। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছি।’

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মজিবুল হক মালিক জামায়াত নেতার স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার বিষয়টিকে গণতান্ত্রিক অধিকার উল্লেখ করে বলেন, ‘মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন চলে যায়নি। সে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে চারজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিলকে রাজনৈতিক কৌশল বলে দাবি করেন জেলা বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।

জাসদ নেতা সবেদ আলী বলেন, দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনুর নির্দেশে তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জাসদ যে কয়টি আসন নিয়ে দর–কষাকষি করছে, তার মধ্যে এই আসনটিও রয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খুস্তার জামিল বলেন, দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে কেন্দ্রের নির্দেশনা রয়েছে। সবেদ আলীর বিষয়ে জাসদ সিদ্ধান্ত নেবে।