খায়রুল কবির কারাগারে

খায়রুল কবির খোকন
খায়রুল কবির খোকন

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও নরসিংদী সদর আসনে দলটির মনোনীত প্রার্থী খায়রুল কবির খোকনকে বিশেষ নিরাপত্তা আইনের এক মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি নরসিংদীর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। বিচারক মো. আতাবুল্লাহ জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি নরসিংদীতে পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ নিরাপত্তা আইনে ওই মামলা করেছিল। খায়রুলের আইনজীবী জানিয়েছেন, মামলার এজাহারে তাঁর নাম ছিল না। পরবর্তীতে অভিযোগপত্রে তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়।

পুলিশ ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি হওয়া বিশেষ নিরাপত্তা আইনের ওই মামলায় বিএনপির ২৭ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। মামলার ওই এজাহারে খায়রুল কবির খোকনের নাম ছিল না। পরে ২৫ নভেম্বর এই মামলার অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অভিযোগপত্রে ২৭৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। যার মধ্যে ৮৭ নম্বর আসামি হিসেবে খায়রুল কবির খোকনের নাম ছিল।

জানা গেছে, আজ বিকেলে খায়রুল কবির খোকন, জেলা যুবদলের সভাপতি মোহসীন হোসাইন বিদ্যুৎ ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির টিটু ওই মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছিলেন। জেলা ও দায়রা জজ আদালত বাকি দুজনের জামিন মঞ্জুর করলেও খায়রুলের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

খায়রুল কবির খোকনের আইনজীবী আব্দুল বাছেদ ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, এই মামলার এজাহারে খায়রুল কবির খোকনের নাম ছিল না। নির্বাচন থেকে দূরে রাখার জন্যই উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে এই মিথ্যা ও গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যেহেতু অংশ নেবেন তাই তিনি এই মামলায় জামিন চেয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। কিন্তু আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।