তিনটিতেই বিএনপির একক প্রার্থী, ঝামেলা শরিক নিয়ে

হবিগঞ্জের চারটি আসনের মধ্যে তিনটিতেই একক প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। একটিতে দুজনকে চিঠি দেওয়া হলেও সেটাকে কৌশলগত সিদ্ধান্ত মানছেন নেতা-কর্মীরা। দুটি আসনে শরিকেরা প্রার্থী দেওয়ায় ঝামেলা বাধতে পারে।
হবিগঞ্জ-১ আসনে বিএনপি মনোনয়ন দিয়েছে সাবেক সাংসদ শেখ সুজাত মিয়াকে। তিনি ২০১০ সালে উপনির্বাচনে জিতে সাংসদ হন। তবে গণফোরাম থেকে এই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ছেলে রেজা কিবরিয়া।
হবিগঞ্জ-২ আসনে বিএনপি থেকে মোট ছয়জন মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম সাখাওয়াত হাসান জীবনকে। তিনি ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনেও এখানে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন।
বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মজিবুল হোসেইন মারুফ বলেন, এস এম সাখাওয়াত হাসানকে নির্বাচনের মাঠ থেকে দূরে রাখতেই তাঁর বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দেওয়া হয়েছে। ১৭ অক্টোবর থেকে তিনি কারাগারে আছেন। তবে নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ।
হবিগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন তিনজন। মনোনয়ন পেয়েছেন জি কে গউছ। তিনি হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক। তাঁর বিরুদ্ধে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া হত্যার ঘটনাসহ বিভিন্ন ঘটনায় বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
এই আসনে আরও একজনকে মনোনয়নের চিঠি দিয়েছে বিএনপি। তিনি হচ্ছেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আইনজীবী এনামুল হক সেলিম।
দলীয় সূত্র বলছে, মামলার ফাঁদে ফেলে সরকার শেষ পর্যন্ত জি কে গউছকে নির্বাচনের মাঠে আসতে না-ও দিতে পারে। এ কারণেই এই আসনে বিএনপি বিকল্প হিসেবে এনামুলকে মনোনয়নের চিঠি দিয়ে রেখেছে।
হবিগঞ্জ-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন চেয়েছিলেন ছয়জন। দলীয় চিঠি পেয়েছেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ ফয়সল। তিনি ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত টানা চারবার এখানে বিএনপির প্রার্থী হন। প্রতিবারই তিনি অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন।
এবার বিএনপি জোটের শরিক দল খেলাফত মজলিসের প্রার্থী আহমদ আবদুল কাদেরও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা বলছেন, আলোচনা সাপেক্ষে পরে একজনকে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী করা হবে।