বাঁশখালীতে নৌকা নাকি লাঙ্গল?

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি উভয় দলের প্রার্থীরা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে দলীয় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দুই দলের প্রার্থীরাই দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন। ফলে এই আসনে মহাজোটের প্রার্থী কে হচ্ছেন—তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে গত বুধবার আওয়ামী লীগের হয়ে জেলা রিটার্নিং কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন বর্তমান সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। একই দিন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন তাঁর বড় ভাই আহমদুল ইসলাম চৌধুরী। এর আগে ওই দিন সকালে জাতীয় পার্টির সভাপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হয়। ওই তালিকায় চট্টগ্রাম-১৬ আসনে দলের প্রার্থী হিসেবে মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর নাম ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সুলতানুল কবির চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীকে পরাজিত করে সাংসদ নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচন করে এই আসনে জিততে পারেননি মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। ২০০১ এবং ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেননি তিনি। ১৯৯৬, ২০০১ এবং ২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে এই আসনে সাংসদ নির্বাচিত হন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। এরপর ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী সাংসদ নির্বাচিত হন। ওই সময় মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী জাতীয় পার্টির দলীয় মনোনয়ন পেলেও শেষ সময়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছিলেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘বাঁশখালী আসন মহাজোটের দরকার হলে আমাকে লাগবে। ১৯৭৫–এর পরবর্তী সময় থেকে আমি বাঁশখালীর জন্য কাজ করে যাচ্ছি। বাঁশখালীর সকল শ্রেণির জনগণ আমার সঙ্গে রয়েছে।’
আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তবে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার দিন তিনি বলেছিলেন, ‘নেত্রী অনেক কিছু বিবেচনা করে দল থেকে আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। নেত্রীকে আসনটি উপহার দিতে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব।’