ভোটের মাঠে আ. লীগ না জাতীয় পার্টি?

ছানোয়ার হোসেন, শফিউল্লাহ আল মুনির
ছানোয়ার হোসেন, শফিউল্লাহ আল মুনির

টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ছানোয়ার হোসেন। মহাজোটের শরিক জাতীয় পার্টিও এ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। তাদের প্রার্থী জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক শফিউল্লাহ আল মুনির।

দুই প্রার্থীই গত বুধবার মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দুজনেই আশাবাদী, তাঁরা প্রার্থী হচ্ছেন। ফলে এই আসনে ভোটের মাঠে কে থাকছে, আওয়ামী লীগ না জাতীয় পার্টি, তা নিয়ে সাধারণ ভোটার তো বটেই, দুই দলের নেতা–কর্মীদের মধ্যেও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছে।

টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত এই আসনে ২০০৮ সালের নির্বাচনে মহাজোট থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবুল কাশেম। ২০১২ সালে টেলিফোন বিল খেলাপির মামলায় তাঁর সংসদ সদস্য পদ বাতিল হয়ে যায়। ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হন আওয়ামী লীগের ছানোয়ার হোসেন।

কয়েক বছর ধরে এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা, সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে দান, অনুদান প্রদানের মাধ্যমে মাঠে নামেন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী শফিউল্লাহ আল মুনির। ঢাকার ইনডেক্স গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শফিউল্লাহ চার মাস আগে জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। যোগদান করেই তিনি দলের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা, জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়কসহ বিভিন্ন পদ লাভ করেন। জাতীয় পার্টি তাঁকে এ আসন থেকে মনোনয়নও দিয়েছে।

এদিকে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা জেলার গুরুত্বপূর্ণ (সদর) এ আসন শুরু থেকেই তাঁদের কাছে রাখার দাবি করছিলেন। তাঁদের বক্তব্য, জাতীয় পার্টির এখন এ আসনে কোনো জনভিত্তি নেই। বিগত দিনের উন্নয়ন কার্মকাণ্ডের কারণে আওয়ামী লীগের জনসমর্থন আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে।

২৫ নভেম্বর জেলার অন্য সাতটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হলেও এ আসনের চিঠি সেদিন দেওয়া হয়নি। পরে ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় ছানোয়ার হোসেনকে মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হয়। এতে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা–কর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে ওঠেন।

মহাজোট থেকে কে প্রার্থী হচ্ছেন, এ প্রসঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর ছানোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে মনোনয়ন দিয়েছেন। তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দল যে সিদ্ধান্ত দেবে, তা–ই তিনি মেনে নেবেন।

তবে শফিউল্লাহ আল মুনির জানান, এটি জাতীয় পার্টির আসন। মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থীই এখানে নির্বাচন করবেন। জাতীয় পার্টির শীর্ষ পর্যায় থেকে তাই তাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।