তাবলিগের সংঘাতের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক

তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। বিমানবন্দর সড়ক, ঢাকা, ১ ডিসেম্বর। ছবি: ফোকাস বাংলা
তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে পুলিশ। বিমানবন্দর সড়ক, ঢাকা, ১ ডিসেম্বর। ছবি: ফোকাস বাংলা

বিশ্ব ইজতেমায় আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে একজন নিহত হওয়ার ঘটনার পর ‘বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে’ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আজ শনিবার বিকেলে বৈঠক শুরু হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন।

আজ শনিবার ভোর থেকে তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে ইসমাইল মণ্ডল (৬৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। তাঁর বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। আজ সকালে ছেলে জাহিদ হাসানের সঙ্গে তিনি টঙ্গী এসেছিলেন। টঙ্গীতে ইজতেমা ময়দানের ১ নম্বর প্রবেশ ফটকে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে ৫০ থেকে ৬০ জন আহত হন।

আজকের সংঘর্ষের পর উদ্ভূত পরিস্থিতেতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক ডাকা হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে এ বৈঠক শুরু হয়। এখানে পুলিশের মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং তাবলিগের দুই পক্ষের মুরব্বিরা উপস্থিত আছেন।

আজের সংঘর্ষের প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কামারপাড়া থেকে একদল মুসল্লি লাঠিসোঁটা হাতে ইজতেমা ময়দানের ১ নম্বর প্রবেশদ্বারে প্রতিপক্ষের অনুসারীদের ওপর হামলা চালান। মুহূর্তের মধ্যে স্থানটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। আধা ঘণ্টা পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলার পর পুলিশের হস্তক্ষেপে তা নিয়ন্ত্রণে আসে।

দুই পক্ষের বিরোধিতার কারণে আসছে বছরের বিশ্ব ইজতেমা স্থগিত ঘোষণা করে সরকার। ১৫ নভেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় তাবলিগ জামাতের বিবদমান দুই পক্ষ ছাড়াও পুলিশের আইজি, ধর্মসচিবসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। আগামী জানুয়ারিতে বিশ্ব ইজতেমা হওয়ার কথা ছিল।