১১ জন প্রার্থী স্বশিক্ষিত, দুজন সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন

কুমিল্লার ১১টি সংসদীয় আসনে ১৩৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ১১৮ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত। ১১ জন স্বশিক্ষিত ও দুজন সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। দুজন প্রার্থী পঞ্চম ও সপ্তম শ্রেণি পাস করেছেন। একজন এসএসসি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছেন।

মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় জমা দেওয়া হলফনামা ঘেঁটে এ তথ্য পাওয়া গেছে। হলফনামার ১ নম্বর অনুচ্ছেদে সর্বোচ্চ শিক্ষাগত যোগ্যতার কলামে প্রার্থীরা নিজেরাই এ তথ্য উল্লেখ করেছেন।

হলফনামার নথি ঘেঁটে দেখা গেছে, ওই ১৩৪ জন প্রার্থীর মধ্যে ১১৮ জনের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত। বাকি ১৬ জন এসএসসি পাস করতে পারেননি। তাঁদের মধ্যে কুমিল্লা-২ (হোমনা ও তিতাস) আসনে জাকের পার্টির প্রার্থী আবদুল লতিফ স্বশিক্ষিত ও মুসলিম লীগের প্রার্থী নূরে আলম ভূঁইয়া ১৯৮৫ সালে এসএসসিতে অকৃতকার্য। কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) মো. হেলালউদ্দিন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দলের (পিডিপি) মো. কামাল উদ্দিন ভূঞা, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) মো. নজরুল ইসলাম ও জাতীয় পার্টির আক্তার হোসেন স্বশিক্ষিত এবং জাতীয় পার্টির (জাপা) আলমগীর হোসেন পঞ্চম শ্রেণি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম সপ্তম শ্রেণি পাস করেছেন। কুমিল্লা-৪ (দেবীদ্বার) আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি—রব) আবদুল মালেক ও ইসলামী আন্দোলনের মো. বেন ইয়ামিন সরকার স্বশিক্ষিত। কুমিল্লা-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম ইদ্রিস স্বশিক্ষিত। কুমিল্লা-৭ আসনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) মো. শাহজাহান সিরাজ সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। কুমিল্লা-৮ আসনে ইসলামী আন্দোলনের মিজানুর রহমান স্বশিক্ষিত ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির মো. আহসান উল্লাহ সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন। কুমিল্লা-৯ আসনে ইসলামী আন্দোলনের সেলিম মাহমুদ স্বশিক্ষিত। কুমিল্লা-১১ আসনে বিকল্পধারা বাংলাদেশের শামছুল হক জেহাদীও স্বশিক্ষিত।

জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর কুমিল্লা মহানগর শাখার সভাপতি ও লালমাই কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শফিকুর রহমান বলেন, তরুণ প্রজন্মের নতুন ভোটার ও শিক্ষিত লোকজন প্রার্থীর অনেক বৈশিষ্ট্যের মধ্যে শিক্ষাগত যোগ্যতাও দেখবেন। ভোটের ক্ষেত্রে এটি প্রভাব ফেলতে পারে।