মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে এককাট্টা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে এবার পঞ্চগড়-১ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাবেক সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মজাহারুল হক প্রধানের পক্ষে সব নেতা-কর্মী এককাট্টা হয়েছেন।

গতকাল শনিবার সকালে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক বর্ধিত সভায় নির্বাচনে দলের মনোনীত প্রার্থী মজাহারুল হক প্রধানের পক্ষে কাজ করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা।

এ সময় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মজাহারুল হক প্রধান ছাড়াও দলটির মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পঞ্চগড়-২ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সাংসদ নূরুল ইসলাম সুজন ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত এবং মনোনয়নপ্রত্যাশী অন্য নেতারাসহ জেলা আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের মধ্যে আনোয়ার সাদাত, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্পের সাবেক কর্মকর্তা নাইমুজ্জামান মুক্তা, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তোয়াবুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মির্জা সারেয়ার হোসেন, মনিরা পারভীন, দপ্তর সম্পাদক মো. নূরুল হুদা, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নুরনেহার নুরী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকিয়া খাতুন, তেঁতুলিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ইয়াসিন আলী মণ্ডল, আটোয়ারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আকতার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মনোনয়নপ্রত্যাশী আনোয়ার সাদাত বলেন, ‘আমরা পঞ্চগড়-১ আসনে অনেকেই মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলাম। আমাদের মধ্যে মনোনয়ন নির্ধারণ হওয়া পর্যন্ত প্রতিযোগিতা ছিল। এখন কেন্দ্রীয়ভাবে সাবেক সাংসদ মজাহারুল হক প্রধানকে প্রার্থী মনোনীত করা হয়েছে। দলীয়ভাবে আমরা তাঁর পক্ষেই সবাই এক হয়ে কাজ করব। আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ বা কোন্দল নেই। আমরা মনে করি, এবারও আমরা এই আসনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে পারব।’

অপর মনোনয়নপ্রত্যাশী নাইমুজ্জামান মুক্তা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ একটি রাজনৈতিক দল। সেখানে আমাদের নিজেদের মধ্যে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা-প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকবে, কিন্তু দিনের শেষে আমাদের দলের প্রতি আনুগত্য সব কর্মীর মধ্যে আছে।’

মজাহারুল হক প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ বড় রাজনৈতিক দল, সে কারণেই অনেকের মনোনয়ন চাওয়াটাই স্বাভাবিক। পঞ্চগড় আওয়ামী লীগের সব নেতা-কর্মী আমার তথা নৌকার পক্ষে কাজ করার জন্য একমত পোষণ করায় তাঁদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।’

বর্ধিত সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্বাস আলীকে আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাতকে সদস্যসচিব করে পঞ্চগড়-১ ও ২ আসনে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি করা হয়। কমিটিতে জেলা আওয়ামী লীগের সব সদস্য ও জেলার সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা সদস্য হিসেবে থাকবেন।

নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য, হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক স্পিকার জমির উদ্দিন সরকারকে ৫০ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মজাহারুল হক প্রধান। ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ।