খন্দকার ইকবালকে ধানের শীষ দেওয়ার দাবি

বিএনপির প্রার্থী হিসেবে খন্দকার ইকবাল হোসেনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করার দাবিতে গতকাল কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা।  ছবি: প্রথম অলো
বিএনপির প্রার্থী হিসেবে খন্দকার ইকবাল হোসেনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করার দাবিতে গতকাল কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ করেন দলটির নেতা-কর্মীরা। ছবি: প্রথম অলো

ফরিদপুর-৪ আসনে (ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর) বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিমকেই চূড়ান্ত করার দাবি জানিয়েছেন তিন উপজেলার বিএনপি নেতারা। ফরিদপুরের ভাঙ্গায় উপজেলা বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়।

বিএনপির প্রার্থী হিসেবে এ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন খন্দকার ইকবাল হোসেন ও জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি শাহরিয়া ইসলাম শায়লা। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ। এবারও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে স্বতন্ত্র সাংসদ মজিবুর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরী।

খন্দকার ইকবাল
খন্দকার ইকবাল

সদরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম রব্বানীর সভাপতিত্বে গতকাল সকাল ১০টায় সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। বক্তব্য দেন চরভদ্রাসন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোতাজ্জেল মৃধা, সদরপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মোকলেচুর রহমান, ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোস্তফা কামাল হাসান, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মুনশি, সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব মোল্লা, সদরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী বদরুজ্জামান, চরভদ্রাসন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস। বক্তারা বলেন, দলের দুর্দিনে সেলিম খন্দকার নেতা–কর্মীদের পাশে ছিলেন। তিনি আন্দোলনসংগ্রাম করতে গিয়ে মামলার আসামি হয়েছেন। তিনি নদীভাঙন ও বন্যাকবলিত মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছেন। বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান দিয়েছেন। তাঁকেই ধানের শীষ দিতে হবে।

দলের আরেক মনোনীত প্রার্থী শাহরিয়া ইসলাম সম্পর্কে বক্তারা বলেন, তিনি নির্বাচনী এলাকায় তেমন পরিচিত নন। নেতা–কর্মীদের সঙ্গে তাঁর তেমন যোগাযোগ নেই। এ রকম একজনকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলে মেনে নেওয়া হবে না।

সংবাদ সম্মেলন চলাকালে তিন উপজেলার যুবদল, ছাত্রদলের শতাধিক নেতা–কর্মী কাফনের কাপড় পরে সেলিম খন্দকারকে ধানের শীষ দেওয়ার দাবিতে মিছিল করেন।

এ সম্পর্কে জানতে শাহরিয়া ইসলামের মুঠোফোনে দুই দফা ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়েও তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।