আশরাফের মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে বিএনপির প্রশ্ন

সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম

আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মনোনয়নপত্রের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিএনপি। দলটির অভিযোগ, মনোনয়নপত্রে সৈয়দ আশরাফের স্বাক্ষর ছিল না। 

আজ সোমবার সকালে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে বিএনপি বলছে, স্বাক্ষর না থাকা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নপত্রে টিপসই দেওয়া হয়েছে। তিনি অসুস্থ। অচেতন অবস্থায় থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন। বিএনপির দাবি, কেউ বিদেশে অবস্থান করলে তাঁর স্বাক্ষর অথবা টিপসই সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ অ্যাম্বেসির একজন ফার্স্ট সেক্রেটারি কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে। এর মর্যাদা হবে প্রথম শ্রেণির একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সমমানের। সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নপত্র এ ধরনের কর্মকর্তার দ্বারা সত্যায়িত হয়নি। তাঁর মনোনয়নপত্র বাংলাদেশে নোটারি করা হয়েছে। এটি আইনসিদ্ধ নয়। সৈয়দ আশরাফের নামে নির্বাচনী কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই, যেখান থেকে নির্বাচনী খরচ চালানো হবে। তাহলে সৈয়দ আশরাফের মনোনয়নপত্র বৈধ হলো কীভাবে?

বিএনপির অভিযোগ, লক্ষ্মীপুর-৩ আসনে বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল কাগজপত্র ও অন্যান্য তথ্য দাখিল না করলেও তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ করা হয়েছে। নিউজ করতে গেলে তিনি সাংবাদিকদের হুমকি-ধমকি দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের অনেক দণ্ডিত নেতারও মনোনয়নপত্র বৈধ করা হয়েছে। অবশ্য বিএনপির এই অভিযোগের সত্যতা প্রথম আলোর পক্ষ থেকে যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি অভিযোগ করেছে, তাঁদের দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিএনপির অসংখ্য প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। টার্গেট করে ৫০ জনের মতো দলের হেভিওয়েট জনপ্রিয় নেতা ও সাবেক সাংসদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

রিজভী বলেন, গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্রকে হত্যার পর এবারের নির্বাচনের মাধ্যমে সেই লাশটির ময়নাতদন্তের রিপোর্টও গায়েব করে দিতে উদ্যোগী হয়েছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল ঘোষণার পর থেকে অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করছে নির্বাচন কমিশন। বিএনপির নেতা-কর্মীদের শান্তি নেই, স্বস্তি নেই, ঘুম নেই। নেতা-কর্মীরা প্রতিনিয়ত গুম আর গ্রেপ্তার হচ্ছে কিংবা গ্রেপ্তার ও গুম–আতঙ্কে ভুগছেন। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন সরকারের পরিব্যাপ্ত ছায়া। সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নির্বাচন কমিশন। প্রধানমন্ত্রীর প্রচ্ছন্ন নির্দেশেই ইসি সব কার্যক্রম পরিচালনা করছে।