আপিল করবেন বিএনপির প্রার্থীরা

যাচাই-বাছাইয়ে মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন বিএনপির প্রার্থীরা। কাল মঙ্গলবার তাঁরা আবেদন করতে পারেন। এ জন্য আজ সোমবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করেছেন তাঁরা। তবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেননি।

গতকাল রোববার মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ৪৬ প্রার্থীর ৪৭টি মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। এর মধ্যে ৯ আসনে বিএনপির ১২ প্রার্থীর ১৩টি মনোনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করা হয়। বাকি প্রার্থীরা স্বতন্ত্র ও অন্যান্য দলের। চট্টগ্রামের আসনগুলোতে মোট ১৮০ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর ১৩৩টি মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা ৩-৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আবেদন করতে পারবেন। ইসি ৬-৮ ডিসেম্বর আপিলগুলোর শুনানি করে রায় দেবে।

সাজার কারণে চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন ও তাঁর ছেলে মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। দুজনই প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার জন্য আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনের ব্যক্তিগত সহকারী নুরুল আমিন।

ঋণ খেলাপের দায়ে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও কারাগারে থাকা আসলাম চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। তবে এর বিরুদ্ধে নির্বাচনে কমিশনে মঙ্গলবার আপিল করা হবে বলে জানান তাঁর ভাই ও বিএনপির আরেক প্রার্থী ইছহাক চৌধুরী।

চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনে বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ছোট্ট একটি কারণে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তাই তিনি আপিল করবেন।

মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরে পাওয়ার জন্য মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) আসনে বিএনপির প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের বরখাস্ত হওয়া চেয়ারম্যান নুরুল আমিন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে লাভজনক পদ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। পদত্যাগপত্র দিলেও তা গ্রহণ করেননি রিটার্নিং কর্মকর্তা। তাই কমিশনে আপিল করবেন।

তবে মনোনয়নপত্র বাতিল হলেও আপিলের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানান চট্টগ্রাম-৪ আসনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল্লাহ আল বাকের ভূঁইয়া। তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় যাচাই-বাছাই করে নাকি এর সত্যতা পায়নি। কিন্তু ঠিক তথ্য দিয়েছিলেন তিনি।

রোববার বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এম মোরশেদ খান, গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী ও তাঁর ছেলে সামির কাদের চৌধুরী, সন্দ্বীপের সাবেক সাংসদ মোস্তফা কামাল পাশা, বিএনপির নেতা সামসুল আলম, আবু আহমেদ হাসনাত ও আবদুল আলিমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।