পুরোনো দ্বন্দ্বের জের বিএনপি-জামায়াতে

নুরুল ইসলাম বুলবুল  ও  হারুনুর রশীদ
নুরুল ইসলাম বুলবুল ও হারুনুর রশীদ

জামায়াত অধ্যুষিত এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ। এখানে জামায়াতের বরাবরের লক্ষ্য হচ্ছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ (সদর) আসনটি কবজা করা। তাই বিএনপি-জামায়াত জোট থাকলেও এ আসনে তাদের জোটগত নির্বাচন হয়নি কখনো। আসনটি নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের লড়াই বহু পুরোনো। এরই জের ধরে জোট থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় জামায়াতের প্রার্থী এবার স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এবারও আসনটিতে বিএনপিকে ছাড় দিতে নারাজ জামায়াত

জামায়াতের জেলা শাখার নায়েবে আমির (সহসভাপতি) চাঁপাইনবাবগঞ্জের পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখানে যে জামায়াত শক্তিশালী, তা প্রমাণিত। জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে উপজেলা চেয়ারম্যান ও দুজন ভাইস চেয়ারম্যন নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে আমি নির্বাচিত হই। এবারের সংসদ নির্বাচনেও জয়ের ব্যাপারে আমরা দারুণভাবে আশাবাদী। এ ছাড়া বৃহত্তর রাজশাহী অঞ্চলে জোট থেকে জামায়াতকে একটিও আসন দেওয়া হয়নি। তাই এ আসনে জামায়াত “স্বতন্ত্র” হিসেবে নির্বাচন করতে চায়।’

অন্যদিকে, এ আসনে বিএনপির মনোনীত দুজন প্রার্থীর অন্যতম দলের যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক সাংসদ হারুনুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখানে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যকার দ্বন্দ্ব বহু পুরোনো। এ জন্য এখানে কখনো জোটগত নির্বাচন হয়নি। তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। এবার মানুষের দাবি, সবার আগে আওয়ামী দুঃশাসন থেকে মুক্তি। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জামায়াতের নুরুল ইসলাম ভোট করলেও জামায়াতের তৃণমূলের লোকজন জোটের প্রার্থীকেই ভোট দেবেন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীকে হারিয়েই আমি নির্বাচিত হই। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত প্রার্থীর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলাম আমি। অতএব এ আসনে জামায়াতকে ছাড় দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’

এ ব্যাপারে কথা বলতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা জামায়াতের কেন্দ্রীয় সদস্য, ঢাকা দক্ষিণ শাখার আমির, ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি নুরুল ইসলাম বুলবুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এদিকে এ আসনে জামায়াতের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা–না করাটা রাজনৈতিক ও ভোটার মহলের একটি আলোচিত বিষয়। নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত আলাদা আলাদা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে সুবিধা পাবে আওয়ামী লীগ