পাঁচ বছরে ফারুক চৌধুরীর আয় বেড়েছে ছয় গুণ

রাজশাহী-১ (তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সাংসদ ও রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাংসদ ওমর ফারুক চৌধুরীর আয় গত পাঁচ বছরে বেড়েছে ছয় গুণ। নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হলফনামায় এই তথ্য পাওয়া গেছে।

ফারুক চৌধুরীর হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি সংসদ নির্বাচনের সময় দাখিল করা হলফনামায় আনুমানিক বাৎসরিক আয় দেখিয়েছিলেন ৮ লাখ ১৮ হাজার ৩৭২ টাকা। ওই সময় তিনি আনুমানিক বাৎসরিক ব্যয় দেখিয়েছেন ৬ লাখ ৫৩ হাজার ৪৫০ টাকা। গত পাঁচ বছরে এই আয় বেড়ে ছয় গুণের বেশি হয়েছে। আর ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণ। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তাঁর দাখিল করা হলফনামায় দেখা যায়, তাঁর আনুমানিক বাৎসরিক আয়ের পরিমাণ বেড়ে হয়েছে ৫৩ লাখ ৩০ হাজার ২০১ টাকা। এটা তাঁর পাঁচ বছর আগের আয়ের ছয় গুণের চেয়ে খানিকটা বেশি। আর ব্যয় বেড়ে হয়েছে ১৫ লাখ ২৪ হাজার ৯৫২ টাকা।

তবে ১০ বছর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় দাখিল করা হলফনামায় তাঁর বাৎসরিক আনুমনিক আয়ের পরিমাণ দেখানো হয়েছিল ৮৮ লাখ ৫২ হাজার ৭২৪ টাকা। তখন তাঁর বাৎসরিক ব্যয় দেখানো হয়েছিল মাত্র ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সে সময় ব্যাংকে তাঁর আমনত দেখানো হয়েছিল ৩০ লাখ টাকা। ২০০৮ সালের নির্বাচনের সময় ব্যাংক আমানত দেখানো হয় ১ লাখ ৬ হাজার ১৪৫ টাকা আর সঞ্চয়পত্র দেখানো হয় ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার। এবার তাঁর ব্যাংকে কোনো আমানত দেখানো হয়নি। তবে সঞ্চয়পত্র দেখানো হয়েছে ২ লাখ টাকার।

গত পাঁচ বছরের আয় বৃদ্ধির ব্যাপারে জানতে চাইলে ওমর ফারুক চৌধুরী গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ২০০৮ সালের পরে তিনি সব ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। কারখানা ছিল। সেটি বন্ধ করে দিয়েছেন। ঠিকাদারি পেশা থেকে আয় হতো। তা–ও ছেড়ে দিয়েছেন। তবে গত পাঁচ বছরে বাড়িভাড়া থেকে তাঁর আয় বেড়েছে। তিনি বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরের আয় হলফনামায় দেখানো হয়েছে। এই আয় শুধু তাঁর বাড়িভাড়া থেকে এসেছে।