আচরণবিধি লঙ্ঘনে ক্ষুব্ধ মানুষ: অলি

অলি আহমদ
অলি আহমদ
>চট্টগ্রাম–১৪ (চন্দনাইশ ও সাতকানিয়ার একাংশ) আসনে এলডিপি সভাপতি অলি আহমদ এবং আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ নজরুল ইসলাম চৌধুরী। ২২ বছর পর আবার মুখোমুখি হচ্ছেন দুই নেতা। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন একরামুল হক

সাবেক সেনা কর্মকর্তা অলি আহমদ প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। জিয়ার জীবদ্দশায় আসেন রাজনীতিতে। তখন একটি উপনির্বাচনে চন্দনাইশ আসনে বিএনপির সাংসদ হন। পরে বিএনপির রাজনীতিতে তিনি হয়ে ওঠেন অন্যতম প্রভাবশালী নেতা। চন্দনাইশে কখনো তিনি হারেননি।

সর্বশেষ ২০০৮ সালের প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির প্রার্থীকে হারিয়ে সাংসদ হন। আগামী সংসদ নির্বাচনে তিনি ২০–দলীয় জোটের শরিক এলডিপির প্রধান হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁর এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী আচরণবিধি মেনে চলছেন না বলে চট্টগ্রামের লালদীঘি পাড়ের বাসায় প্রথম আলোর কাছে এই অভিযোগ করেছেন তিনি।

অলি আহমদের অভিযোগ, ৩০ নভেম্বর চন্দনাইশের প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং ইউপি সদস্যদের এমপির (নজরুল ইসলাম চৌধুরী) বাড়িতে ডেকে নেওয়া হয়। তাঁদের অনেককে এমপির সমর্থনে বক্তব্য দিতে বাধ্য করা হয়। আবার ১ ডিসেম্বর এমপির ব্যক্তিগত সহকারী প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি এবং শিক্ষক প্রতিনিধিদেরও এমপির বাড়িতে ডেকে আনেন। নির্বাচনকালে একজন এমপির কোনো প্রভাব থাকবে না বলে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল। কিন্তু স্থানীয় এমপির কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। তাই জেলা প্রশাসক তথা রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ইউএনও তথা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে বিষয়টি জানিয়েছি।

গত ২৮ নভেম্বর মনোনয়ন ফরম দাখিলের সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে মিছিল হয়েছে বলে অলি অভিযোগ করেন। ফরম জমা দেওয়ার পর জনসভা করা হয় ইউএনও কার্যালয়ের সামনে। অলি বলেন, বিষয়টিও আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি।

অলির মতে, এমপিদের আচরণবিধি ভঙ্গের কারণে নির্বাচন কমিশনের ওপর জনগণের আস্থা থাকবে না। তাই শান্তিশৃঙ্খলা ও স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। জনগণ যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে সে সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়া আমাদের সবার দায়িত্ব। তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় এলে দুর্নীতি বন্ধ করে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করব। এ জন্য প্রয়োজন ভোটের অধিকার এবং জনগণের সরকার।