ভোটের মাঠে বঙ্গবন্ধুর মেয়ে-ভাগনে-ভাইপো-নাতি

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ২৫ দিন বাকি। ইতিমধ্যে যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। আর পাঁচ দিন পর নির্বাচন গড়াবে মাঠে। ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে ঘুরবেন প্রার্থীরা।

বরাবরের মতো এবারের নির্বাচনেও প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা ও ধানের শীষের মধ্যে। আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৬৪ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। মোট ২৮১ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৭৮ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালিকায় রয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে, স্বজনসহ মোট আটজন। বঙ্গবন্ধুর মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দুটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আর অন্যরা একটি করে আসনে লড়ছেন।

ভোটে বঙ্গবন্ধুর সাত স্বজনের মধ্যে আছেন তাঁর দুই ভাগনে, দুই ভাইপো ও তিন নাতি। ভোটের মাঠে এই আটজনের মধ্যে দুজন এবারই প্রথমবারের মতো নির্বাচন করছেন। অন্যরা সবাই বর্তমান সংসদের নির্বাচিত সদস্য।

মেয়ে শেখ হাসিনা লড়ছেন গোপালগঞ্জ-৩ ও রংপুর-৬ আসন থেকে। বঙ্গবন্ধুর বোনের ছেলে শেখ ফজলুল করিম সেলিম গোপালগঞ্জ-২ আসনে, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ বরিশাল-১ আসনে লড়ছেন।

বঙ্গবন্ধুর ছোট ভাই শেখ আবু নাসেরের দুই ছেলে এবার মনোনয়ন পেয়েছেন। এর মধ্যে শেখ হেলাল উদ্দিন বাগেরহাট-১ আসনে এবং শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল খুলনা-২ আসনে ভোটে লড়বেন। জুয়েল এবারই প্রথমবারের মতো ভোট করছেন।

ভোটের মাঠে আছেন বঙ্গবন্ধুর তিন নাতিও। তাঁরা হলেন বঙ্গবন্ধুর ভাইপো শেখ হেলালের ছেলে শেখ সারহাম নাসের তন্ময় (বাগেরহাট-২), ভাগনে শেখ ফজলুল হক মনির বড় ছেলে শেখ ফজলে নুর তাপস (ঢাকা-১০) এবং ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরীর ছেলে নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটন (মাদারীপুর-১) আসনে নির্বাচন করছেন। এই তিনজনের মধ্যে তন্ময় এবার প্রথমবারের মতো নির্বাচন করছেন।

ফরিদপুর-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন বঙ্গবন্ধুর নাতি নিক্সন চৌধুরী। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে তিনি এর আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। বর্তমান সংসদের সাংসদ তিনি। এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়বেন। বঙ্গবন্ধুর বড় বোন ফাতেমা বেগম নিক্সন চৌধুরীর দাদি।