শামীম সাঈদীকে মানবে না নাজিরপুর বিএনপি

শামীম বিন সাঈদী
শামীম বিন সাঈদী

পিরোজপুর-১ (পিরোজপুর সদর-নাজিরপুর-নেছারাবাদ) আসনে ২০–দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে শামীম বিন সাঈদীকে মানতে নারাজ নাজিরপুর উপজেলা বিএনপি। গতকাল সোমবার উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় দলীয় নেতারা শামীম সাঈদীকে চূড়ান্ত প্রার্থী না করার দাবি জানান। শামীম বিন সাঈদী মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে।

পিরোজপুর-১ আসনে বিএনপির মহাসচিবের স্বাক্ষরিত চিঠি যুক্ত করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন শামীম বিন সাঈদী। এ আসনে জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার ও জেলা বিএনপির সদস্য মো. সরোয়ার হোসেনও বিএনপির জোটের প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে গতকাল সকাল দশটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত চলা সভায় দলের উপজেলা ও ইউনিয়ন কমিটির নেতা ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন। সভায় বেশির ভাগ নেতা শামীম বিন সাঈদীকে ২০–দলীয় জোটের মনোনয়ন না দেওয়ার দাবি জানান। তবে কয়েকজন নেতা শামীম বিন সাঈদীর পক্ষে বক্তব্য দেন। আলোচনা শেষে শামীম বিন সাঈদীকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০–দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন না দেওয়ার জন্য কার্যবিবরণী করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেন, শামীম বিন সাঈদীর বাড়ি ইন্দুরকানি উপজেলায়। ইন্দুরকানি উপজেলা পিরোজপুর-২ আসনে অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু শামীম বিন সাঈদীকে পিরোজপুর-১ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। এ আসনে ২০–দলীয় জোটের শরিক দল জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব মোস্তফা জামাল হায়দার বা জেলা বিএনপির সদস্য মো. সরোয়ার হোসেনের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হোক। শামীমকে জোটের প্রার্থী করা হলে নেতা-কর্মীরা পুলিশের হয়রানির শিকার হবেন। ফলে শামীম বিন সাঈদী প্রার্থী হলে নির্বাচনে তাঁর ভরাডুবি হবে।

সভায় উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি শামীম বিন সাঈদীর পক্ষে কাজ করতে রাজি না।’

উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম লাহেল মাহমুদ শামীমের পক্ষে কাজ করার কথা বলেন।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সভায় শামীম বিন সাঈদীকে মনোনয়ন না দেওয়ার পক্ষে দলের বেশির ভাগ নেতা বক্তব্য দেন। এরপর সর্বসম্মতিক্রমে আমরা শামীম বিন সাঈদীকে মনোনয়ন না দেওয়ার জন্য রেজল্যুশন করেছি। ওই রেজল্যুশন দলের মহাসচিবের কাছে পাঠানো হবে।’

শামীম বিন সাঈদীর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি।

জেলা জামায়াতের আমির তোফাজ্জেল হোসেন মুঠোফোনে বলেন, বিএনপির নেতাদের দলের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া উচিত। এ আসনে বিজয়ী হওয়ার মতো শক্তিশালী প্রার্থী শামীম বিন সাঈদী।