মনোনয়নবঞ্চিতদের উপেক্ষা করে 'ভোটের মাঠে' কুদ্দুস

নিবাচনী প্রস্তুতি সভায় আবদুল কুদ্দুস ।  ছবি: প্রথম আলো
নিবাচনী প্রস্তুতি সভায় আবদুল কুদ্দুস । ছবি: প্রথম আলো

নাটোর-৪ (গুরুদাসপুর-বড়াইগ্রাম) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ঘিরে দীর্ঘদিন ধরে চলা কোন্দল নিরসন না করেই ভোটের প্রচারণায় নেমেছেন সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কুদ্দুস। ইতিমধ্যে তিনি নির্বাচনী এলাকার সাতটি ইউনিয়নে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা শেষ করেছেন।

তবে এসব প্রস্তুতি সভায় মনোনয়নবঞ্চিত দুই নেতা গুরুদাসপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র শাহনেওয়াজ আলী, বড়াইগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী এবং তাঁদের কর্মী–সমর্থকেরা যোগ দেননি। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের মধ্যে দ্বিধা-বিভক্তি ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় দুই বছর ধরে স্থানীয় সাংসদ আবদুল কুদ্দুসের সঙ্গে মনোনয়নপ্রত্যাশী শাহনেওয়াজ আলী ও সিদ্দিকুর রহমানের রাজনৈতিক বিরোধ এবং আধিপত্য বিস্তার করা নিয়ে প্রতিযোগিতা চলে আসছিল। সর্বশেষ মনোনয়ন পাওয়ার প্রতিযোগিতায় এসব নেতা তাঁদের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ঢাকায় গিয়ে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনাসহ দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনুকম্পা লাভের চেষ্টা চালান। কিন্তু দলীয়ভাবে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাংসদ কুদ্দুসকেই দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়। মনোনয়ন নিয়ে সাংসদ গত ২৬ নভেম্বর এলাকায় আসেন। তখন স্থানীয় নেতা–কর্মীরা বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের কাছিকাটায় সাংসদের জন্য গণশুভেচ্ছার আয়োজন করলেও মনোনয়নবঞ্চিতদের ওই অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি।

এদিকে দলীয় মনোনয়ন দাখিল করেই সাংসদ এলাকায় দলের তৃণমূলের নির্বাচনী প্রস্তুতি, নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ও নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধনে নেমে পড়েন। ইতিমধ্যে দুই উপজেলায় সাতটি প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে বলে সাংসদ জানান। এসব সভায় মনোনয়নবঞ্চিত দুই নেতা ও তাঁদের কর্মী–সমর্থকদের দেখা যায়নি।

সর্বশেষ গতকাল সোমবার সাংসদ–সমর্থিত গুরুদাসপুর পৌরসভাসহ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও তাঁদের সমর্থকদের নিয়ে পৌর শহরের চাঁচকৈড়ে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা করেন সাংসদ কুদ্দুস।

এ ব্যাপারে মনোনয়নবঞ্চিত সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী গতকাল মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, তাঁদের আন্দোলন ছিল ব্যক্তি ‘কুদ্দুস’কে ঘিরে। তাই প্রার্থী হিসেবে কুদ্দুসকে বদলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, এই আন্দোলন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে না।