বীর বাহাদুরের স্ত্রীর বাহাদুরি

বীর বাহাদুর
বীর বাহাদুর

বৃহত্তর চট্টগ্রামের চার মন্ত্রীর মধ্যে সম্পত্তি এবং আয়ে অন্য সবাইকে ছাপিয়ে গেছেন পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং এবং তাঁর স্ত্রী। ১০ বছরের ব্যবধানে বান্দরবানের এই সাংসদের আয় বেড়েছে ৯ গুণ, সম্পত্তি বেড়েছে ১৪ গুণ। তবে এই দুই ক্ষেত্রেই তাঁকে পেছনে ফেলেছেন স্ত্রী মেহ্লা প্রুর। তাঁর সম্পত্তি (স্থাবর ও অস্থাবর) ৭৫ গুণ এবং আয় বেড়েছে ৯৩ গুণ।

হলফনামা অনুযায়ী, ২০০৮ সালে বীর বাহাদুরের স্ত্রী বা নির্ভরশীলদের আয় ছিল ৫০ হাজার টাকা। এখন স্ত্রী বা নির্ভরশীলদের আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা। বীর বাহাদুরের বর্তমান বার্ষিক আয় দেখানো হয় ১ কোটি ৫৮ লাখ ৮১ হাজার টাকার। ২০০৮ সালে তা ছিল ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।

২০০৮ সালে স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদ ছিল ৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার। বর্তমানে তা ৮৮ গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৭১ লাখ টাকার। বীর বাহাদুরের অস্থাবর সম্পদ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এর আগে ২০০৮ সালে তাঁর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ছিল ৬৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকা।

স্থাবর সম্পদেও অগ্রগামী স্ত্রী মেহ্লা প্রু। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্ত্রীর ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ ছিল। ৩৪ গুণ বেড়ে এখন তা হয়েছে সাড়ে ৪৮ লাখ টাকায়। বীর বাহাদুরের স্থাবর সম্পদ ৩৩ গুণ বেড়ে এবার হয়েছে ৫ কোটি ১৮ লাখ টাকা।

২০০৮ সালে বীর বাহাদুরের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মূল্যমান ছিল ৮২ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৭ টাকা এবং বর্তমানে তা বেড়ে হয়েছে ১১ কোটি ৯৮ লাখ ১৫ হাজার ৯৮৫ টাকা। সেই সময় কোনো দালান না দেখালেও এবারের হলফনামায় ৪ কোটি ৮৪ লাখ টাকার কটেজ-রেস্টুরেন্টসহ ৯টি দালানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। দালানগুলোর অবস্থান উল্লেখ করা হয়নি। তবে জেলা শহরের মেঘলা পর্যটন এলাকায় উত্তরাধিকার সূত্রে ইজারা জমিতে করা হয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বারবার ফোন করা হলেও বীর বাহাদুর ফোন ধরেননি। মুঠোফোনে খুদে বার্তা পাঠিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।