'হংসবলাকা' পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নতুন উড়োজাহাজ ‘হংসবলাকা’পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিভিআইপি টারমাকে বিমান বহরের দ্বিতীয় বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি পরিদর্শন ও আরোহণ করেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী উড়োজাহাজটির ককপিটসহ বিভিন্ন অংশ ঘুরে দেখেন ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
২৯ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে বোয়িং কর্তৃপক্ষ বিমানের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন) ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিলের কাছে নতুন এই বোয়িং ড্রিমলাইনারটি হস্তান্তর করে। সিয়াটলের বোয়িং ফ্যাক্টরি থেকে টানা ১৫ ঘণ্টা উড়ে বিমানটি ১ ডিসেম্বর রাত পৌনে ১২টার দিকে ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ‘হংসবলাকা’ নামে বিমানটি ১০ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-লন্ডন রুটে প্রথম বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে।
অন্যান্য বিমানের চেয়ে ২০ শতাংশ জ্বালানিসাশ্রয়ী ২৭১ আসনের বোয়িং ৭৮৭-৮ মডেলের এই উড়োজাহাজ ঘণ্টায় ৬৫০ মাইল গতিতে একটানা ১৬ ঘণ্টা উড্ডয়ন করতে পারে। ৪৩ হাজার ফুট উঁচু দিয়ে ওড়ার সময়ও এই বিমানে ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা রয়েছে।
২০০৮ সালে বাংলাদেশ ও বোয়িং কোম্পানির মধ্যে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলারে ১০টি নতুন ড্রিমলাইনার কেনার চুক্তি হয়। এর মধ্যে ৭৭৭-৩০০ ইআর মডেলের চারটি এবং দুটি ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজ বিমান বহরে যোগ হয়েছে। ‘আকাশবীণা’ নামে প্রথম ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনারটি দেশে আসে গত ১৯ আগস্ট।
‘রাজহংস’ ও ‘শঙ্খচিল’ নামে আরও দুটি ড্রিমলাইনার ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিমান বহরে যুক্ত হবে বলে জানান বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ।
শাকিল মেরাজ প্রথম আলোকে বলেন, বিমানের নতুন ১০টি উড়োজাহাজের নাম রেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। ১০ ডিসেম্বর থেকে নতুন দুটি ড্রিমলাইনার দিয়ে প্রতি সপ্তাহে ঢাকা-লন্ডন রুটে ছয়টি, ঢাকা-দাম্মাম রুটে চারটি এবং ঢাকা-ব্যাংকক রুটে তিনটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।