দিলদারের আয় বেড়েছে, কমেছে ফরীদ উদ্দিনের

দিলদার হোসেন সেলিম ও ফরীদ উদ্দিন চৌধুরী
দিলদার হোসেন সেলিম ও ফরীদ উদ্দিন চৌধুরী

২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেটের দুটি আসনে সাংসদ ছিলেন তাঁরা। এরপর ২০১৪ সালে তাঁরা নির্বাচনে অংশ নেননি। এবার তাঁরা ভোটের মাঠে ফিরে এসেছেন। ১০ বছরে তাঁদের একজনের আয়, অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদ বেড়েছে। আরেকজনের আয় ও অস্থাবর সম্পদ কমেছে।

এ দুজন প্রার্থী হচ্ছেন সিলেট-৪ (গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও কোম্পানীগঞ্জ) আসনের বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া দিলদার হোসেন সেলিম ও সিলেট-৫ আসনের (জকিগঞ্জ ও কানাইঘাট) ফরীদ উদ্দিন চৌধুরী। দিলদার কেন্দ্রীয় বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক। ফরীদ জামায়াতের কেন্দ্রীয় পরিষদের সদস্য।

তাঁদের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জমা দেওয়া হলফনামার সঙ্গে ২০০৮ সালের হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

সাবেক সাংসদ দিলদার হলফনামায় উল্লেখ করেছেন, তাঁর বার্ষিক আয় ৭ লাখ ৪ হাজার টাকা। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী, দিলদার হোসেনের বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা। সে হিসাবে, তাঁর আয় বেড়েছে তিন গুণ।

এবার দিলদারের অস্থাবর সম্পদ রয়েছে ৩৩ লাখ ২৮ হাজার টাকার। ২০০৮ সালে তা ছিল ১৭ লাখ টাকার। ২০০৮ সালে তাঁর স্থাবর সম্পদ ছিল ৪ লাখ টাকার। এক দশকের ব্যবধানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ টাকার। এসব স্থাবর সম্পদের বাইরে যৌথ মালিকানায় তাঁর রয়েছে ২৪ একর ৯৪ শতক কৃষিজমি ও দ্বিতল বাণিজ্যিক ভবন। আর দায় রয়েছে ৩৯ লাখ ৯৯ হাজার টাকা।

সিলেট-৫ আসনের সাবেক সাংসদ ও জামায়াতের নেতা ফরীদ উদ্দিনের বার্ষিক আয় ৪ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। ২০০৮ সালের হলফনামা অনুযায়ী, তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ৯ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। কমেছে অস্থাবর সম্পত্তিও। ১০ বছর আগে তাঁর অস্থাবর সম্পদ ছিল ৪৬ লাখ ৫৬ হাজার টাকার। এবার এর পরিমাণ ৪৪ লাখ ২০ হাজার টাকা।

তবে দ্বিগুণ বেড়েছে স্থাবর সম্পত্তি। এবার হলফনামায় তিনি স্থাবর সম্পত্তি দেখিয়েছেন ৬১ লাখ ৬৪ হাজার টাকার। এক দশক আগে তা ছিল ৩০ লাখ ৪১ হাজার টাকা। এবার তাঁর দেনা রয়েছে ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা।