আসাদুজ্জামানের পরিবার ২৯০ ভরি সোনার মালিক

আসাদুজ্জামান
আসাদুজ্জামান

ঢাকা-১৫ আসনে বিএনপি থেকে প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া এস এম আসাদুজ্জামান রিপনের নিজের নামে স্বর্ণ আছে ৬০ ভরি। স্ত্রী ও কন্যার আছে আরও ২৩০ ভরি। তাঁদের সঞ্চয়পত্র আছে ৬২ লাখ ৪২ হাজার ৪০১ টাকার। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে জমা দেওয়া হলফনামা থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
কাফরুল, মিরপুর ও শেরেবাংলা থানার একাংশ নিয়ে ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসন। এ আসন থেকে এবারই প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাইছেন আসাদুজ্জামান রিপন। তবে এই আসনে তাঁর প্রার্থিতা এখনো চূড়ান্ত নয়।
হলফনামায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আসাদুজ্জামান রিপনের নামে মামলা আছে ১০টি। পিএইচডি ডিগ্রিধারী এই প্রার্থী পেশায় সাংবাদিক, গবেষক ও প্রকাশক। নিজের ও তাঁর ওপর নির্ভরশীলদের আয়ের উৎস সম্পর্কে বলা হয়েছে, পেশাগত খাত থেকে তিনি বছরে ১৭ লাখ ৯৪ হাজার ৮৭৩ টাকা আয় করেন। স্ত্রীর আয় বছরে ১২ লাখ ৬৩ হাজার ৬১৪ টাকা এবং তাঁর মেয়ের বাৎসরিক আয় ১২ লাখ ৫২ হাজার ৮০০ টাকা।
হলফনামায় তাঁর অস্থাবর সম্পত্তির তথ্যে বলা হয়েছে, তাঁর নিজের নামে ৫০ লাখ ৭২ হাজার ৪০১ টাকার, স্ত্রীর নামে ৮ লাখ ২০ হাজার এবং মেয়ের নামে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার সঞ্চয়পত্র আছে। নিজের হাতে নগদ টাকা আছে ৩২ লাখ, স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের কাছে ৩৩ লাখ নগদ টাকা আছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নিজের নামে জমা অর্থের পরিমাণ ২০ লাখ ও স্ত্রীর নামে ১২ লাখ টাকা। বন্ড, ঋণপত্র বা শেয়ার মার্কেটে নিজের নামে সাড়ে ৩ লাখ ও স্ত্রীর নামে ৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ আছে। পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে নিজের বিনিয়োগ আছে ১ লাখ টাকার। স্ত্রী ও নির্ভরশীলদের বিনিয়োগ আছে ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকার। এ ছাড়া নিজের নামে, স্ত্রীর নামে ও নির্ভরশীলদের নামে সাড়ে ৪ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকার আসবাব রয়েছে।
স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে আসাদুজ্জামান রিপন পৈতৃক সূত্রে ছয়টি বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট পেয়েছেন। আর তাঁর স্ত্রীর নামে ছয়টি নির্মাণাধীন ভবন আছে। চা-বাগান, রাবারবাগান বা মৎস্য খাতে তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর ১২ লাখ টাকা করে মোট ২৪ লাখ টাকার বিনিয়োগ আছে। এ খাতে নির্ভরশীলদের বিনিয়োগ আছে আরও ১৫ লাখ টাকা। এত অর্থ-সম্পদ থাকলেও এই প্রার্থীর নিজের নামে কোনো মোটরযান বা গাড়ি আছে কি না, সে তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।