চারটি আসনে পুরোনো প্রার্থী, দুটিতে নতুন মুখ

মোসলেম উদ্দিন, কাজী নাজমুল হোসেন
মোসলেম উদ্দিন, কাজী নাজমুল হোসেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনে বিএনপি ছয়জনের প্রার্থিতা চূড়ান্ত করেছে। এর মধ্যে দুজন সাবেক সাংসদসহ চারজন পুরোনো প্রার্থী মনোনয়ন পেয়েছেন। বাকি দুটি আসনে নতুন মুখের ওপর বাজি ধরেছে বিএনপি।

ওই দুই নতুন মুখ হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ (নবীনগর) আসনে মোসলেম উদ্দিন ও কাজী নাজমুল হোসেন। তাঁদের মধ্যে মোসলেম আখাউড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। এ আসনে বিএনপির ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী ছিলেন দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক সচিব মুশফিকুর রহমান। যাচাই-বাছাইয়ে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। পরে আপিলেও তিনি বৈধ হতে পারেননি। অন্যদিকে কাজী নাজমুল হোসেন জেলা বিএনপির সদস্য ও এ আসনের সাবেক সাংসদ কাজী আনোয়ারের ছেলে।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনে বিএনপির সাবেক উপমন্ত্রী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ (বাঞ্ছারামপুর) আসনে সাবেক সাংসদ ও পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এআইজিপি) আবদুল খালেকের মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছে বিএনপি। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনীতিবিষয়ক সম্পাদক খালেদ হোসেন চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন। একরামুজ্জামান বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ২০০১ ও ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। খালেদ হোসেন ২০১১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে উপনির্বাচনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে মাঠে আসেন।

কৌশলগত কারণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছয়টি আসনে বিএনপি ২৩ প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়। তাঁরা নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। তাঁদের মধ্যে ছয়জনকে চূড়ান্ত করেছে বিএনপি।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা দাবি করেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অন্তত চারটি আসনে বিএনপি জয় পাবে। এগুলো হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১, ২, ৫ ও ৬। বাকি দুটির মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগের সাংসদ র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সঙ্গে বিএনপির প্রার্থী খালেদ হোসেনের ভালো লড়াই হতে পারে। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা ও আখাউড়া) আসনে ক্ষমতাসীন দল নানা হিসাব-নিকাশ করে বিএনপির ‘হেভিওয়েট’ প্রার্থী মুশফিকুর রহমানকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে সক্ষম হয়েছে। এ আসনে বিএনপির বর্তমান প্রার্থী মোসলেম উদ্দিনের সঙ্গে আইনমন্ত্রীর লড়াই হবে।

তবে জেলা ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির একাধিক নেতা-কর্মী বলেন, নির্বাচন পর্যন্ত বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মাঠে থাকলে পারলে এবং নির্বাচনের দিন জনগণ ভোটকেন্দ্রে যেতে পারলে সব কটি আসনেই বিএনপি জয় পাবে।

জেলা বিএনপির সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা বলেন, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছেন। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে বিএনপি বিজয়ী হবে।