ধানের শীষের প্রার্থী ইকবাল সিদ্দিকী

ইকবাল সিদ্দিকী
ইকবাল সিদ্দিকী

গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর) আসনে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচন করবেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মনোনীত প্রার্থী ইকবাল সিদ্দিকী। গত শনিবার বিকেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সভা থেকে তাঁকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়। ইকবাল সিদ্দিকী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং ও ইশতেহার কমিটির সদস্য।

ইকবাল সিদ্দিকী পেশায় শিক্ষক। তিনি ইকবাল সিদ্দিকী কলেজ ও কচিকাঁচা একাডেমি নামের দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা। ২০০৮ সালের সংসদ নির্বাচনেও তিনি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে লড়াইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে আসনটিতে বিএনপির মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছিলেন চারজন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কাউকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।

গাজীপুর-৩ আসনে শ্রীপুর উপজেলার সঙ্গে যুক্ত আছে গাজীপুর সদরের তিন ইউনিয়ন ভাওয়ালগড়, পিরুজালী ও ভাওয়াল মির্জাপুর। আয়তন ও ভোটারের সংখ্যা বিবেচনায় বিশাল এই নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল দলের কেন্দ্রীয় সহস্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলামকে। এ ছাড়া কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ মনোনয়ন দিয়েছিল ইকবাল সিদ্দিকীকে। মনোনয়নের চূড়ান্ত ঘোষণার পর থেকেই এলাকায় আলোচনা ছিল, আসনটিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী দিতে পারে।

মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর শ্রীপুরের বিভিন্ন স্থানে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলাকায় ইকবাল সিদ্দিকীর গ্রহণযোগ্যতা আছে। এই আসনে অতীতেও তিনি নির্বাচন করেছিলেন। অভিজ্ঞতার আলোকে এবারের নির্বাচনে ভালো করতে পারবেন বলে ধারণা তাঁদের। তাঁরা আরও জানান, শ্রীপুরে বিএনপির উল্লেখযোগ্য ভোটার আছে। তাঁরা নিজ দলের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে অবশ্যই প্রতীক দেখে ভোট দেবেন। ইকবাল সিদ্দিকীর মার্কা যেহেতু ধানের শীষ, সেহেতু তাঁর ভোটের মাঠ অনেক বড়।

ইকবাল সিদ্দিকী প্রথম আলোকে বলেন, ‘অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ এখনো তৈরি হয়নি। আমরা মনে করি, মানুষ জেগে উঠবে। মানুষ জাগলে সুষ্ঠু নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি হতে বাধ্য। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তাদের ইশতেহারে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষাকে স্থান দিয়েছে। মানুষ আমদের পক্ষে থাকবে। আমরা সবাইকে নিয়ে সবার জন্য একটি বাসযোগ্য শান্তির বাংলাদেশ চাই।’ তিনি বলেন, নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ তৈরি হলে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে এই আসনে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন।