বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী আবু আশফাক

আবু আশফাক
আবু আশফাক

ঢাকা-১ আসনে (দোহার-নবাবগঞ্জ) বিএনপির চূড়ান্ত প্রার্থী হিসেবে মনোনীত হয়েছেন খন্দকার আবু আশফাক। গতকাল রোববার সকালে তাঁর প্রার্থিতা চূড়ান্ত হয়। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি এই আসনে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালমান এফ রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান সাংসদ সালমা ইসলামের সঙ্গে লড়বেন।

খন্দকার আবু আশফাক তাঁর দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ঢাকা-১ আসনের প্রার্থী হিসেবে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমার নাম ঘোষণা করেন।’ এদিকে সব গুঞ্জনের অবসান ঘটিয়ে আবু আশফাক ধানের শীষের প্রার্থী হওয়ায় তাঁর নির্বাচনী এলাকায় স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা-১-এ প্রথম দফায় বিএনপি থেকে দুজন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়। তাঁরা হলেন সাবেক সাংসদ ফাহিমা হোসেন জুবলী ও খন্দকার আবু আশফাক। তবে যাচাই-বাছাইয়ে দুজনেরই মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। এতে এই আসনে বিএনপি প্রার্থীশূন্য হয়ে পড়ে। পরে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে দুজনই প্রার্থিতা ফিরে পান। গতকাল সকালে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে খন্দকার আবু আশফাকের হাতে ধানের শীষ প্রতীক তুলে দেয় বিএনপি।

আবু আশফাক বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।

এ বিষয়ে খন্দকার আবু আশফাক বলেন, ‘আমি নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের দুবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। এই অঞ্চলে আমার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি এই আসন থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হব। আমি ইসির কাছে সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আগমুহূর্তে আমার দলের নেতা-কর্মীদের পুলিশ বিনা কারণে নির্যাতন করছে। এতে নির্বাচনী পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। সেই সঙ্গে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দরকার।’