বিএনপিতেও একক প্রার্থী

সিরাজগঞ্জের ছয়টি আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ শুরু থেকেই একক প্রার্থী দিয়েছে। নানা জল্পনা শেষে বিএনপিও প্রতিটি আসনে একক প্রার্থী ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল রোববার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে দুজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন।

জেলার ছয়টি আসনে ৫১ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। যাচাই-বাছাই শেষে ৩৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত হয়। নির্বাচন কমিশনে আপিল করে প্রার্থিতা ফিরে পান আরও পাঁচজন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির তিনজন, স্বতন্ত্র একজন ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের একজন। সব মিলিয়ে এখন নির্বাচনী মাঠে টিকে রইলেন মোট ৩০ জন প্রার্থী। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জ-১ (কাজীপুর ও সদর উপজেলার আংশিক) আসনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সঙ্গে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন বিএনপির প্রার্থী সংগীতশিল্পী রুমানা মোর্শেদ কনকচাঁপা ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী আল আমিন সিরাজী।

সিরাজগঞ্জ-২ (সদর উপজেলার আংশিক ও কামারখন্দ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ হাবিবে মিল্লাত, বিএনপির প্রার্থী জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সাংসদ রুমানা মাহমুদ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) নবকুমার কর্মকার ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. মহিবুল্লাহ।

সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়েছেন ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক মো. আবদুল আজিজ। তিনি বর্তমান সাংসদসহ ২১ জনকে হারিয়ে মনোনয়ন পেয়ে চমকে দিয়েছেন সবাইকে। এ আসনে বিএনপির প্রার্থী তিনবারের সাবেক সাংসদ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল মান্নান তালুকদার। এ ছাড়া জাকের পার্টির মো. আলমগীর হোসেন, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল পিডিপির মো. নুরুল ইসলাম ও সিপিবির শেখ মো. মোস্তফা নুরুল আমিন প্রার্থী হয়েছেন।

সিরাজগঞ্জ-৪ (উল্লাপাড়া) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ তানভীর ইমাম ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০–দলীয় জোটের প্রার্থী হয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মো. রফিকুল ইসলাম খান। এ আসনে অন্য প্রার্থীরা হলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আবদুর রহমান, জাকের পার্টির মো. জহির রায়হান ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিবি) মো. মুকুল হোসেন।

সিরাজগঞ্জ-৫ (বেলকুচি ও চৌহালী) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাংসদ আবদুল মজিদ মণ্ডলের ছেলে আবদুল মমিন মণ্ডল এবং বিএনপির নতুন মুখ কেন্দ্রীয় কমিটির সহপ্রচার সম্পাদক মো. আমিরুল ইসলাম খান। তা ছাড়া এ আসনে প্রার্থী হয়েছেন বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মো. আবদুন নূর, জাতীয় পার্টির মো. মোক্তার হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. লোকমান হোসেন ও স্বতন্ত্র জেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতা আলী আলম।

সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনে প্রার্থী হয়েছেন আওয়ামী লীগের সাংসদ মো. হাসিবুর রহমান ও বিএনপির নতুন মুখ সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী এম এ মতিনের ছেলে এম এ মুহিত। এ ছাড়া প্রার্থী হয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মিসবাহ উদ্দিন, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) মো. আবদুল আলিম ফকির, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির মো. আবদুল হাই, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের মো. শফিকুজ্জামান ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের মো. হাবিবুর রহমান।