আ.লীগ 'সন্ত্রাসীরা' বিএনপির কর্মীদের আক্রমণ করেছে: রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। প্রথম আলো ফাইল ছবি
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। প্রথম আলো ফাইল ছবি

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, নির্বাচনী প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচার শুরুর দিনই বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর ‘সশস্ত্র আক্রমণ’ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। বিভিন্ন স্থানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট–মনোনীত প্রার্থীদের প্রচারের কাজে ব্যবহৃত মাইক ভাঙচুর এবং বিএনপির কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটেছে।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন।

রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে আওয়ামী লীগের ‘সন্ত্রাসীরা’ বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে। নির্বাচনী প্রচারের শুরুতেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ঢাকঢোল পিটিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ছত্রচ্ছায়ায় মিছিল –সমাবেশ করেছে আওয়ামী লীগ। এই মিছিল থেকে তারা রাস্তার ধারে বিএনপির কার্যালয় দেখলেই সেখানে হামলা চালিয়ে তছনছ করেছে।

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, নির্বাচনী প্রচার শুরু হলেও রাজধানীসহ সারা দেশে পুলিশি ‘তাণ্ডব’ থামছে না। বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি হামলা, গ্রেপ্তার ও গুম বন্ধ হচ্ছে না। পোশাকে ও সাদাপোশাকে পুলিশ এখন আতঙ্কের নাম।

নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, ইসি নির্বাচনী প্রচারের ন্যূনতম পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হওয়ায় এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা না করতে পারায় এসব হামলা হচ্ছে। সরব ও নীরব সন্ত্রাসে জনগণের উদ্বেগ ও আতঙ্ক কাটছে না।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হওয়া একটি ভিডিওর প্রসঙ্গ টেনে রিজভী অভিযোগ করে আরও বলেন, কুষ্টিয়াতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের একজন নেতার বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। বিএনপির কেউ ভোট চাইতে গেলে এই ‘সন্ত্রাসী’ নেতা প্রকাশ্যে তাদের পিঠের চামড়া তুলে নেওয়ার কথা বলেছেন। এই নেতাদের মতো অসংখ্য সন্ত্রাসীকে ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়’ নির্বাচনী মাঠে ছাড়া হয়েছে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, যতই আক্রমণ করা হোক, জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সব বাধা উপেক্ষা করে মাঠে নামতে হবে। ধানের শীষের প্রার্থীদের বিজয়ী করতে হবে। জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিতে পারলে ধানের শীষের বিজয় ঠেকানো যাবে না। তিনি আরও বলেন, জনগণের মিলিত শক্তিতে যে ঝড় উঠবে, সেই ঝড়ের ধাক্কায় সরকারি ‘জুলুম–নির্যাতন’ উড়ে যাবে। পুলিশের হাতে সংরক্ষিত গণতন্ত্রের বন্ধ দুয়ারের চাবি ছিনিয়ে নিতে হবে। সারা দেশে বিএনপির নেতা–কর্মীদের গ্রেপ্তার, বাড়ি বাড়ি পুলিশের তল্লাশি, হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে এসবের নিন্দা জানান রিজভী। এসব বন্ধ করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানান তিনি।