ভাবির কাছ থেকে ধানের শীষ গেল দেবরের হাতে

আবদুল মহিত
আবদুল মহিত

শেষ মুহূর্তে বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে বিএনপির দলীয় প্রার্থী পরিবর্তন করা হয়েছে। ধানের শীষ প্রতীক পেয়েছেন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মহিত তালুকদার।

এ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন মানবতাবিরোধী মামলায় অভিযুক্ত পলাতক আসামি সাবেক সাংসদ আবদুল মোমিন ওরফে খোকা তালুকদারের স্ত্রী মাছুদা মোমিন। কিন্তু গত রোববার রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত দলীয় চিঠিতে প্রার্থী পরিবর্তনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

বগুড়া জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লেখা ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, এ আসনে মাছুদা মোমিনের মনোনয়ন বাতিল করে আবদুল মহিত তালুকদারকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তাঁকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার জন্য জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হয়েছে। চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রথমে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পরে ইসি আবদুল মহিত তালুকদারের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করলে তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। হাইকোর্ট রোববার তাঁর মনোনয়নপত্র গ্রহণের পক্ষে রায় দেন। নির্বাচন করতে কোনো বাধা না থাকায় মাছুদা মোমিনের মনোনয়ন বাতিল করে আবদুল মহিত তালুকদারকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হলো।

বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনে বিএনপি থেকে মোট ১২ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী দলীয় মনোনয়নের জন্য আবেদন করেছিলেন। তাঁদের মধ্যে একই পরিবারের তিনজন আবদুল মোমিন, তাঁর স্ত্রী মাছুদা মোমিন ও ছোট ভাই আবদুল মহিত তালুকদার ছিলেন। মোমিন তালুকদার একাত্তরে আদমদীঘি উপজেলা রাজাকার কমান্ডার ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে চারজন মুক্তিযোদ্ধাকে রাজাকার ক্যাম্পে ধরে নিয়ে হত্যার অভিযোগ আছে। তাঁর বিরুদ্ধে লুণ্ঠন, ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। মোমিন তালুকদারের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা হয়। পরে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। তিনি পলাতক রয়েছেন। তিনি ও তাঁর পরিবারের কোনো সদস্যকে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার জন্য বিএনপিরই ছয়জন মনোনয়নপ্রত্যাশী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে চিঠি দিয়েছিলেন।